এই পৃথিবীতে মানুষই মানুষের ক্ষতির কারণ। কেউ কারো চক্ষুশূল হলে দ্বারস্থ হন জাদুটোনার কাছে। আখিরাতের কথা বেমালুম ভুলে পার্থিব জীবনের সুখ ভোগে অপরের ক্ষতিসাধনে লিপ্ত হন অনেকেই। সাধারণত জিনের মাধ্যমে জাদু করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নানা উপায়ে জাদুটোনা করা হয়ে থাকে।
কাউকে জাদুটোনা করা হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে যেসব লক্ষণ দেখা দেয় তা হলো-
১. জাদুগ্রস্ত ব্যক্তি কোরআনের তিলাওয়াত শুনতে পারে না।
২. তীব্র মাথ ব্যথা থাকবে।
৩. কারণে অকারণে কান্না করবে। অনবরত চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকবে।
৪. সবসময় একা থাকতে চায়।
৫. ক্ষুধামন্দা লেগে থাকে।
৬. দুর্বল হয়ে পড়ে থাকে।
৭. অনবরত হাই তুলবে এবং সে সবসময় ঝিমাতে থাকবে।
প্রতিকার কী?
সকাল সন্ধ্যার দোয়া পাঠ করতে হবে।
সূরা এখলাস ৩ বার
সূরা ফালাক ৩ বার
সূরা নাছ ৩ বার পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খেতে পারেন। আসরের পর মাগরিবের সময় এইসব দোয়া পড়ে জাদুগ্রস্ত ব্যাক্তিকে ফু দিবেন। এছাড়া যে বাড়িতে সূরা বাকারাহ নিয়মিত পাঠ করা হয় সে বাড়িতে কেউ জাদুটোনা করতে পারে না। সূত্র- শায়খ আহমাদুল্লাহ