শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার সাগর ‘মাছশূন্য’ করছে ভারতীয়রা, বাড়ছে ক্ষোভ ◈ রাজাকার গালি নয়, অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে: মিজানুর রহমান আজহারি ◈ চাপানোর ক্ষমতা আমাদের নেই, কেবল বুঝাবো কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা ◈ জাতীয় নাগরিক কমিটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় আগে ◈ বাংলাদেশি ৫ কৃষককে সীমান্তে বিএসএফের মারধর, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ ◈ হঠাৎ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি! ◈ অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা: মির্জা ফখরুল ◈ প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে, রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো: প্রধান উপদেষ্টা ◈ আইরিশ ফুটবলার রাতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে সকালে গেলেন স্কুলে ক্লাস করতে ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসসহ যেসব চ্যানেলে

প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ক্ষমার রাত শবে বরাত, কিন্তু যে ২ ধরনের ব্যক্তি শবে বরাতেও ক্ষমা পাবে না 

ক্ষমার রাত শবে বরাত। এটি হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয়। শবে বরাত ফারসি ভাষার শব্দ। ‘শব’ অর্থ রাত। আর ‘বরাত’শব্দের অর্থ, মুক্তি, শান্তি, সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে লাইলাতুল বরাত, সৌভাগ্য রজনী।

এ রাতে মহান আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন। তবে এ রাতেও দুই ধরনের মানুষকে ক্ষমা করেন না। এরা হলেন ১. অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণকারী, ২. মুশরিক ব্যক্তি।

 বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ অর্ধ-শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান ৫৬৬৫)

মহান আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করেন শিরককারীকে। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা সবচেয়ে বড় গোনাহ। তিনি শিরকের গোনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে তুলনা করা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করাই শিরক।
 
মহান আল্লাহ শিরকের গোনাহের পরিণতি সম্পর্কে ঘোষণা করেন,  নিঃসন্দেহে আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। তবে শিরক ছাড়া অন্যান্য গোনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে লোক আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার সাব্যস্ত করে; সে যেন অপবাদ আরোপ করে। (সুরা নিসা ৪৮)

হিংসা একটি ভয়ংকর মন্দ স্বভাব। যার ফলে আমাদের অনেক নেক আমল; ভালো কাজ, নেকি ও পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়। হিংসা বা অহংকার মানুষের পতন ঘটায়।
 
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
 
إياكُم والحَسَدَ، فإنَّ الحَسَدَ يأكُلُ الحَسَناتِ كما تأكُلُ النَارُ الحَطَبَ অর্থ: হিংসা থেকে সাবধান! কেননা হিংসা নেকীকে এমনভাবে ধ্বংস করে; যেমন আগুন লাকড়ি ধ্বংস করে। (আবু দাউদ ৪৯০৩)

হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা এক ধ্বংসাত্মক ব্যাধির নাম হিংসা। হিংসা মানুষকে তিলে তিলে ক্ষয় নি:শেষ করে দেয়। হিংসুক, দুনিয়ায় ও পরকালে উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন,
 
তোমরা ধারণা করা থেকে বিরত থাকো। ধারণা বড় মিথ্যা ব্যাপার। তোমরা দোষ তালাশ করো না, গোয়েন্দাগিরি করো না, পরস্পর হিংসা পোষণ করো না, একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষভাব পোষণ করো না এবং পরস্পর বিরোধে লিপ্ত হয়ো না; বরং তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও। (বুখারি ৬০৬৪) উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়