প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজার বিশেষ ফজিলত হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। ইসলামী পরিভাষায় এই দিনগুলোকে ‘আইয়ামে বিজ’ বলা হয়। বিজ শব্দের অর্থ সাদা বা পরিষ্কার। এই দিনগুলোতে যেহেতু চাঁদের আলোয় পৃথিবী আলোকিত থাকে, ঝলমল করে; এ জন্য দিনগুলোকে আইয়ামে বিজ বলা হয়।
আবুু জর (রা.)-কে নবীজি (সা.) বলেছেন, তুমি যদি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতে চাও, তাহলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখো। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬১)
এ ছাড়া মাসের যেকোনো তিন দিন রোজা রাখলে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হবে মর্মেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে।(সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭৬২)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ধৈর্যের মাস হলো রমজান মাস। আর প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা সারা বছর সাওম (রোজা) পালন করার সমতুল্য।
(নাসাঈ, হাদিস : ২৪০৮)
মাসে তিন দিন রোজা রাখলে মনের ওয়াসওয়াসা দূর হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের অন্তরের ওয়াসওয়াসা দূর করার আমল সম্পর্কে অবহিত করব না? সাহাবিরা বলেন, কেন নয়? তিনি বলেন, তা হলো প্রত্যেক মাসে তিন দিন সাওম (রোজা) পালন করা। (নাসাঈ, হাদিস : ২৩৮৬)
আইয়ামে বিজের রোজা রাখার নির্দেশ দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কোনো কোনো ইসলামিক স্কলার বলেছেন, ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব পড়ে। এ দিনগুলোতে চাঁদ পূর্ণতা পায়।
এ সময় ভূপৃষ্ঠ ও মানুষের অভ্যন্তরে এ আকর্ষণের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়।
আপনার মতামত লিখুন :