মোঃরফিকুল ইসলাম মিঠু (ইজতেমা মাঠ থেকে) : শুরায়ি নেজামের দ্বিতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি)। নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে গভীর মনোযোগে ধর্মীয় বয়ান শুনছেন মুসল্লিরা। আগামীকাল সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই পর্ব।
মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী ও ইজতেমা শেষে বাড়ি ফেরা মুসল্লিদের যাতায়াত সুবিধার জন্য ১১টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে বিভাগ। এছাড়াও আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ভোর থেকে মোনাজাত শেষ না পর্যন্ত টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের আশেপাশের মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
আজ মঙ্গলবার বাদ ফজর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ। সকালে তালিমের মোজাকারা (আলোচনা) করেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব। পরে খিত্তায় খিত্তায় তালিম করা হয়। এছাড়াও সকাল পৌনে ১০টায় বয়ান মিম্বারের সামনে ওলামায়ে কেরামের সাথে কথা বলবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব।
এরপর নামাজের মিম্বারের সামনে মাদ্রাসার ত্বলাবাদের সাথে কথা বলবেন পাকিস্তানের মাওলানা ফরীদ সাহেব।
৪০টি খিত্তায় অবস্থান নিয়ে তাবলীগ বিষয়ে মুরুব্বিদের দিকনির্দেশনা শুনছেন ২২ জেলার লাখো মুসুল্লি। ইজতেমার মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠায় ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন দেশি-বিদেশি মুসুল্লিরা।
এদিকে আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধায় ১১টি বিশেষ ট্রেন ও বাড়তি বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বনলতা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সুবর্ণলতা, পর্যটক এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এই পাঁচটি বিশেষ ট্রেন ব্যতীত টঙ্গি স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, “আগামীকালের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কাল ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল থেকে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত মহাসড়কে আখেরি মোনাজাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”
আপনার মতামত লিখুন :