পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজ রয়েছে। কোরআন-হাদিসে সেসব নামাজের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিন সেসব নফল নামাজের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
তাহাজ্জুদ: তাহাজ্জুদ হচ্ছে শেষ রাতের নামাজ। এ নামাজের ব্যাপারে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন। যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে, তখন তিনি বলতে থাকেন—কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (বুখারি: ১১৪৫)
ইশরাক: ইশরাকের নামাজ ফজরের পরে পড়তে হয়। সূর্যোদয়ের ২০ মিনিট পর থেকে এ নামাজ আদায় করা যায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ইশরাকের নামাজ পড়ে, তার সারা দিনের সব প্রয়োজনের জন্য আল্লাহ তাআলা যথেষ্ট হয়ে যান।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ১০০৯)
চাশত: চাশতের নামাজ ফজর ও জোহরের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে পড়া হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যা আমি মৃত্যু পর্যন্ত কখনো ছাড়ব না—১. প্রতি মাসের তিনটি রোজা, ২. চাশতের নামাজ ও ৩. ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতর নামাজ আদায় করা।’ (বুখারি: ১৩৭৫)
আওয়াবিন: আওয়াবিন হচ্ছে মাগরিবের নামাজ-পরবর্তী নফল নামাজ। মাগরিবের নামাজের পর কমপক্ষে ৬ রাকাত এবং সর্বোচ্চ ২০ রাকাত আওয়াবিন নামাজ আদায় করা যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়ে এবং কোনো মন্দ কথা না বলে; তাহলে সে ১২ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি: ৪৩৫)
লেখক: নাঈমুল হাসান তানযীম, মাদ্রাসাশিক্ষক, সূত্র : আজকের পত্রিকা
আপনার মতামত লিখুন :