শিরোনাম
◈ ‘ঠিকানায় সাদ্দাম’, তোপে খালেদ মুহিউদ্দীন, হাসনাত-সারজিস বললেন ‘শহিদদের সঙ্গে প্রতারণা’ ◈ শপথ নিলেন পিএসসির আরও ৪ সদস্য ◈ সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না, প্রধান উপদেষ্টাকে পাওলা পামপালোনি ◈ ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার ◈ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা অন্যায়: শমী কায়সার ◈ ট্রাম্প তার বিজয় বক্তৃতায় কী বলেছেন? গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়, যা বলছে চীন ◈ ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি  ◈ পুলিশের উপর এসিড নিক্ষেপ, যা বললেন সেনা কর্মকর্তা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ফিলিস্তিনি–মার্কিন নারী যে ডিসট্রিক্ট থেকে জিতেছেন

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:২৫ দুপুর
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামি মহাসম্মেলন: ‘সরকার সহযোগিতা না করলে তাদেরও দেশ ছেড়ে পালাতে হবে’

ভারতের মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করলে ঠেকানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাবলীগ জামাতের একপক্ষের নেতারা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন।

মহাসম্মেলন মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে সরকার। আমি বলব এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। 

ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে সহযোগিতা করব। সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। না হলে পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যদি সাদকে বাংলাদেশে আসতে দেয়, তাহলে সরকারকেও পালিয়ে যেতে হবে।’

দেশ বরেণ্য আলেম মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেন, সাদ স্বঘোষিত তাবলিগের আমির বলে ঘোষণা দেয়। কুরআন হাদিস, আলেম-উলামা, আল্লাহর অলি, নবী ও স্বয়ং আল্লাহর বিরুদ্ধে কুফরি বক্তব্য দিতে থাকে৷ তাই সারা বিশ্বে তাবলিগের মূলধারা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। সাদের অনুসারী কাদিয়ানী গ্রুপ ইসলামের মূলধারায় বিভক্তি সৃষ্টি করছে। তাবলিগের নামে কাদিয়ানীদের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কাদিয়ানিরা বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা তাদের সব ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেব।

সরেজমিন দেখা যায়, সকালে ফজরের নামাজের পর থেকেই তাবলিগ জামায়াতের লোকজন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর উদ্যানের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারীরা।

এর আগে দেশের সর্বস্তরের আলেম-ওলামা ও ‘আপামর তাওহিদি জনতাকে’ মহাসম্মেলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল এক বিবৃতিতে। এতে বলা হয়েছিল, ‘দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে ক্বওমিয়া ও দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এই মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়