শিরোনাম
◈ ‘ঠিকানায় সাদ্দাম’, তোপে খালেদ মুহিউদ্দীন, হাসনাত-সারজিস বললেন ‘শহিদদের সঙ্গে প্রতারণা’ ◈ শপথ নিলেন পিএসসির আরও ৪ সদস্য ◈ সংস্কারের জন্য অর্থের কোনো ঘাটতি হবে না, প্রধান উপদেষ্টাকে পাওলা পামপালোনি ◈ ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আ,লীগ নেতা গ্রেফতার ◈ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা অন্যায়: শমী কায়সার ◈ ট্রাম্প তার বিজয় বক্তৃতায় কী বলেছেন? গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়, যা বলছে চীন ◈ ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন মোদি  ◈ পুলিশের উপর এসিড নিক্ষেপ, যা বললেন সেনা কর্মকর্তা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে ফিলিস্তিনি–মার্কিন নারী যে ডিসট্রিক্ট থেকে জিতেছেন

প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:০৩ রাত
আপডেট : ০৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যা বলা হয়েছে

রাগ বা ক্রোধ মানুষকে জ্ঞান, বিবেক ও ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। রাগের কারণে মানুষের আচার-আচরণে খারাপ প্রভাব পড়ে। এ জন্য রাগ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম ব্যক্তিকে প্রকৃত বীরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাগ নিয়ন্ত্রণকারীকে আল্লাহ ভালোবাসেন।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা ইমরান, আয়াত: ১৩৪)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রকৃত বীর সে নয়, যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়। বরং সে-ই প্রকৃত বাহাদুর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৬৮৪)

আবুজার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, একজন অপর জনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং একজন আরেকজনকে যেন কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা যদি সে তা না হয়ে থাকে, তবে তা তার ওপরই পতিত হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৪৭৬)

রাগ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

আউজুবিল্লাহ পাঠ করা

সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) বলেন, দুই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে।

বাক্যটি হলো- বাংলা উচ্চারণ: আউজু বিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রজিম।

বাংলা অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১২)


শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪)


চুপ থাকা

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো, যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)

রাসুল (সা.) বলেছেন, সে প্রকৃত বীর নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সে-ই প্রকৃত বীর যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। (বুখারি)

অজু করা

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, সে যেন তখন অজু করে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৬)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়