মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজ জীবনে চলতে গেলে প্রতিনিয়তই পরস্পরের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে থাকে। মানুষের চারপাশে থাকা সমাজের এক জনের সঙ্গে অপর জনের অধিকার সম্পর্কে হাদিসে দিকনির্দেশনা এসেছে।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-র বরাতে এক হাদিসে এ বিষয়ে বর্ণনা আছে। তিনি বর্ণনা করেছেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের ছয়টি হক রয়েছে:
১. কারও সঙ্গে দেখা হলে সালাম দেবে;
২. আমন্ত্রণ করলে তা কবুল করবে;
৩. পরামর্শ চাইলে সৎ পরামর্শ দেবে;
৪. হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়লে তার জবাব দেবে (অর্থাৎ, ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে);
৫. পীড়িত হলে তার কাছে গিয়ে খবরাখবর নেবে;
৬. ইন্তেকাল করলে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করবে। (মুসলিম ২১৬২)
এসব বিষয়ে লক্ষ করলে দেখা যাচ্ছে সবগুলোই অন্যের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে। সমাজে মানুষ যাতে একে অপরের সাথে ভালোভাবে বসবাস করে তার জন্য এস বিষয়ে শুধু নির্দেশনা দেয়া হয়নি বরং হক বা অধিকার বলা হয়েছে।
সমাজে শুধু নিজের মতো চলবে এমন গুণ মুসলমানের নয়। অপর মুসলমানের খোঁজ খবরও নিতে হবে। দেখা সাক্ষাতে হাসি মুখে অভ্যর্থনা জানাতে হবে, খাবারের দাওয়াত দিলে গ্রহণ করতে হবে। অসুস্থ হলে দেখতে যেতে হবে। সবশেষ জানাযায় গিয়ে দোয়া করতে হবে।
ইসলাম মানুষকে সামাজিকভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল থাকার শিক্ষা দেয়। সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার শিক্ষা দেয় না। একেবারে দুনিয়া-বিমুখ হওয়ারও শিক্ষা দেয় না। সূত্র : সময়টিভি
আপনার মতামত লিখুন :