শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ জুন, ২০২৪, ০১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২৬ জুন, ২০২৪, ০১:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকায় মহানবী (সাঃ) এর বিদায় হজ্ব ও গদীরে খুম দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাশিদুল ইসলাম: মহানবী (সাঃ) এর বিদায় হজ্ব ও গদীরে খুম দিবস উপলক্ষ্যে আজ ২৫ শে জুন  মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। বিশ্ব মানবতা ও সংহতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরকারী মাদরাসা-ই আলীয়া ঢাকা এর প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন ড. শাহবুদ্দিন মাশায়েখী রাদ। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসানুল হাদী, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মুফতিয়া খানকাহ শরীফ এর গদিনেশীন আবুল উলাইয়্যা শাহ সুফী সারোয়ার মোস্তফা আবুলউলায়ী, ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ সুফী এইচ এম হানীফ নূরী, আহলে বায়েত গবেষক ও খতিব মাওলানা হাফেজ ফুয়াদ আল-মাহদী আল-ফারুকী, ভারতের মেদেনিপুর দরবার শরীফের খাদেম মাওলানা মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইলাম ক্বাদেরী এবং বিশ্ব মানবতা ও সংহতি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান। অনুষ্ঠানে অনুবাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইরানের আল মুস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ শাখার প্রশিক্ষণ ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আলী নওয়াজ খান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মহানবী (সা.)এর পর যেহেতু আর কোন নবী আসবেন না তাই বিদায় হজের ভাষণে আমাদের প্রিয় নবী তাঁর উম্মতদের জন্য বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়ে যান। মহানবী (সা.) তার বিদায় হজের ভাষণে বলেন, তোমরা যতদিন পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বায়েতকে অনুসরণ করবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না। অনুষ্ঠানে গদীরে খুম দিবস উপলক্ষ্যে বক্তারা বলেন,  এ দিন  মহানবী (সা) হযরত আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ)-কে খিলাফতে অধিষ্ঠিত করেন এবং বলেন, আমি যার মওলা ও নেতা আলী তাঁর মওলা ও নেতা ।

বিদায় হজের কয়েক দিন পর  মহানবী (সা) মহান আল্লাহর নির্দেশে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ) নিজের খলিফা বা প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করেছিলেন। দিনটি ছিল দশম হিজরির ১৮ জিলহজ।

বিদায় হজের পর রাসূল (সা.) মদিনায় ফেরার পথে গাদির-এ-খুম নামক স্থানে আল্লাহর নির্দেশে এক অভিষেক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হজরত আলীকে (আ) মুমিনদের নেতা বা মাওলা হিসেবে মনোনীত করেন। ওই ঐতিহাসিক ঘটনার ৮০ কিংবা ৮৪ দিন পর আল্লাহর রাসূল (সা.) আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যান। বিদায় হজ সমাপনের পর তিনি মদিনা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন এহরাম পরা অবস্থায়। সঙ্গে ছিল সোয়া লাখ সাহাবি । পথে ১৮ জিলহজ মদিনার নিকটবর্তী গাদির-এ-খুম নামক স্থানে উপস্থিত হলে পবিত্র কুরআনের শেষ আয়াতের আগের আয়াত তথা সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়।

সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন: "হে রসূল, পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ দেখান না।" আল্লাহর পক্ষ থেকে এই নির্দেশ নাজিলের পর, রাসূল (সা.) গাদির-এ-খুম নামক স্থানে আল্লাহর ওই ঘোষণাটি উম্মতকে জানিয়ে দেন অভিষেক উৎসবের আয়োজন করে। যখন রাসূল (সা.) গাদির-এ-খুম নামক এলাকায় এসে থামলেন, তখন তিনি সবাইকে একত্রিত করলেন, হজরত আলীর (আ) হাত ধরে উপরে তুললেন এবং জনতার উদ্দেশে বললেন, তোমরা কি জান, আমি মুমিনদের নিজেদের প্রাণের চেয়েও বেশি আওলা বা প্রিয়? লোকেরা বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি যাঁর মাওলা এই আলীও তাঁর মাওলা। হে আল্লাহ যে তাঁকে বন্ধু বানায় তুমিও তাঁকে বন্ধুরূপে গ্রহণ কর, আর যে তাঁর সঙ্গে শত্রুতা করে তুমিও তাঁকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়