শিরোনাম
◈ গণহত্যা মামলা: কারাগারে পুলিশ কর্মকর্তা জসিম ◈ খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত, অবরোধের ডাক ◈ ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দিরে ১৪৪ ধারা জারি ◈ গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকে দিলেন তালা  ◈ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে ঢুকলে ফিরিয়ে দিত, এই সরকার কঠোর আচরণ করছে : ভারতীয় জেলেদের সংবাদ সম্মেলন ◈ ৩৫ প্রত্যাশীরা ফের আন্দোলনে, পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামানে ছত্রভঙ্গ ◈ দুইটি হজ প্যাকেজের খরচ এর বিষয় যা জানাগেল ◈ রাজনীতিবিদ ছাড়া সংস্কার সফল হতে পারে না : মির্জা ফখরুল ◈ অন্তর্বর্তী সরকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের প্রভাব : ডয়চে ভেলে প্রতিবেদন ◈ প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে  চেয়েছিলেন ডিএজি এমরান আহম্মদ

ডিএজি এমরান আহম্মদ

ডেস্ক রিপোর্ট: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আলোচনায় এসেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি তার স্বপদে বহাল থাকলেও তারই এক সহকর্মী খুলে নিয়েছেন চেম্বারের নেমপ্লেট। তার রুম থেকে ফাইলপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সময় বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, তিনি যা বলেছেন, সচেতনভাবেই বলেছেন। সূত্র: সমকাল

সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো। 
প্রশ্ন: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ড. ইউনূস প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়ে আপনি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
উত্তর: আইনমন্ত্রী প্রথিতযশা আইনজীবী। আমার শ্রদ্ধেয় অভিভাবক। তাঁর বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
প্রশ্ন: অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আপনি কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে (ড. ইউনূস প্রসঙ্গে) এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
উত্তর: যে উদ্দেশ্যের কথা বোঝানো হচ্ছে, সে রকম কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই এবং ছিল না।
প্রশ্ন: ড. ইউনূসকে নিয়ে বক্তব্যের কারণ কী?
উত্তর: আমরা যারা ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি, তাদের স্কুলিং কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই হয়েছে। আমাদের স্কুলিং হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর কন্যাদের ঘিরে। তাদের আদর্শ এবং তাদের রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। মনে হয়েছে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, সেই পরিবেশই এখন তৈরি করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৪ সাল থেকে নানাভাবে বিশ্বনেতাদের কাছে বন্ধুহীন করা হয়েছিল। এ জন্য তাঁর হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বনেতাদের ভূমিকা দেখা যায়নি। এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও বন্ধুহীন করার অপপ্রয়াস চলছে। ড. ইউনূস নোবেলজয়ী। বিশ্বব্যাপী তাঁর পরিচিতি আছে। কিন্তু তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ বানানো সমীচীন নয়। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা চাইলে দেশে এসে বিচারকাজ দেখতে পারেন। তাই ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি ‘বেদরকারি’। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাও সফ্টলি সুরাহা করা যেত। তাই সচেতনভাবেই মত প্রকাশ করেছি। আমি চেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ হোক।
প্রশ্ন: গণমাধ্যমে না বলেও প্রধানমন্ত্রীকে আপনার মত জানাতে পারতেন।
উত্তর: চিন্তাভাবনা করেছিলাম। কিন্তু সেটা কতটা কঠিন, এটা তো সবাই জানেন। এ জন্যই গণমাধ্যমকে বেছে নিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনাকে অনেকেই এখন আওয়ামী লীগের ‘হাইব্রিড’ বলছেন।
উত্তর: আমি ১৯৯৬ সাল থেকে চার বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। শিবিরবিরোধী আন্দোলন করেছি। চাইলে যে কেউ খোঁজ নিতে পারেন।
প্রশ্ন: ড. ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের বিবৃতিকে জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক যড়যন্ত্র বলে মনে করেন কিনা?
উত্তর: চতুর্মুখী যড়যন্ত্র হচ্ছে– এটা তো সবাই জানেন। আমি যে বক্তব্য দিয়েছি এবং তারপর আমি যেসব হারাতে পারি, সে শঙ্কা আমার ছিল ও আছে। তবুও আমার মনে হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে কথা বলা দরকার। এখন অনেকে বলছেন, চাচা-ভাতিজা এক হয়ে গেছেন। ড. ইউনূস আমার চাচা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: ড. ইউনূসের সঙ্গে আপনার বা আপনার পরিবারের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?
উত্তর: ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেই সুবাদে আমার বাবার সহকর্মী ছিলেন। ক্যাম্পাসে ছোট সময় থেকেই ড. ইউনূসকে দেখেছি, তাঁকে চাচা বলি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা ছিল না।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপনার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?
উত্তর: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে নানা কথা বলছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয়স্বজন অনেকেরই আছে, আমারও আছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আমার কোনো আবেদন করা নেই।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি পদত্যাগ করবেন কিনা বা এ বিষয়ে কী ভাবছেন?
উত্তর: পদত্যাগ করার মতো কোনো কাজ করেছি বলে মনে করি না। পদত্যাগ করব না। তবে নেত্রী (শেখ হাসিনা) যদি মনে করেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা মেনে নেব। নেত্রীর কাছে দোয়া চাই।
প্রশ্ন: আপনি কোনো চাপ অনুভব করছেন কিনা?
উত্তর: গণমাধ্যমে দেখেছি, কিছু উৎসাহী সহকর্মী অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আমার নামফলক খুলে নিয়েছেন। অনেকে নানা কথা বলছেন। এগুলো তো অবশ্যই চাপ। এগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আসলে কিছু করার নেই। গ্রন্থনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়