শিরোনাম

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৪, ১০:৪২ দুপুর
আপডেট : ০২ মার্চ, ২০২৪, ০৩:৫২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সহিংসতা বন্ধ ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি রাশিয়ার আহ্বান

সের্গেই ল্যাভরভ

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যকার যাবতীয় বিভেদ ভুলে সব ফিলিস্তিনিকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। শুক্রবার মস্কোতে ফিলিস্তিনের সব দলের একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ আহ্বান জানান তিনি। সূত্র : আনাদোলু 

[৩] ল্যাভরভ বলেন, ‘সন্দেহাতীত ভাবেই এই ঐক্যের প্রধান উদ্দেশ্য হবে গাজায় রক্তপাত বন্ধ করা। বর্তমানে সেখানে যুদ্ধ-সহিংসতা আমরা দেখতে পাচ্ছি, হয়তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চেষ্টায় কিছুদিনের জন্য তা বন্ধ থাকবে, তারপর আবার ঘটবে এবং বার বার ঘটবে। এই সংঘাত পুরোপুরি বন্ধ হতে পারে কেবলমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।’ তিনি বলেন, ‘ কোনো ঘরে যদি একাধিক মতের লোকজন সারাক্ষণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকে, তাহলে সেই ঘর বা পরিবার কখনও উন্নতি করতে পারে না। দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সবচেয়ে বড় বাধা এটি।’

[৪] ১৯৪৭ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়। ১৯৫৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তা আরও জোরালো রূপ নেয়। ১৯৫৭ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দুই পৃথক রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমানাও নির্দিষ্ট করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে এ ইস্যুতে গঠনমূলক আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

[৫] গত কয়েক দশকে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি ও গোষ্ঠীগুলো অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও বৈরীতায় জড়িয়ে পড়ে। সেখানকার একটি পক্ষ দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে এবং অপরপক্ষ ইসরায়েল রাষ্ট্র নির্মূলের পক্ষে অবস্থান নেয়। ফিলিস্তিনে কার্যত দু’টি সরকার ব্যবস্থা ক্রিয়াশীল রয়েছে। পশ্চিম তীরে রয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (ফিলিস্তিনি অথরিটি-পিএ) বা ফাতাহের অধীনে, আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনরত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর জোটের নাম প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জোট।

[৬] শুক্রবারের আলোচনায় ল্যাভরভ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে একদিকে সেখানকার সাধারণ জনগণের স্বার্থ, লক্ষ্য এমনকি ভাগ্যও অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে। এই দ্বন্দ্বের ফায়দা নিচ্ছে সুযোগ সন্ধানী পক্ষ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারটি আলোচনায় নিয়ে আসতে চায়, সে সময় সুযোগ সন্ধানী পক্ষ বলছে যে ফিলিস্তিনের সত্যিকার প্রতিনিধি কেউ নেই।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আপনারা যদি পিএলওর ব্যানারে সবাই ঐক্যবদ্ধ হন, তাহলে সুযোগ সন্ধানী পক্ষ আর টালবাহানা করতে পারবে না। আমি আশা করব, আপনারা এ ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের সব রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া।’ সম্পাদনা: রাশিদ 

এসআই/আর/আইএফ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়