সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে ইলিনয় অনুষ্ঠেয় ভোটের (প্রাইমারি) ব্যালটে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হলে (কংগ্রেস ভবন) আক্রমণে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকার জন্য বুধবার এই রুল দিয়েছেন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এক বিচারক। আদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বিবেচনায় আদেশ কার্যকরের বিষয়টি বিলম্বিত করেছেন আদালত। সূত্র : রয়টার্স
[৩] ইলিনয়ের কুক কাউন্টি সার্কিট বিচারক ট্রেসি পোর্টার তার আদেশের ক্ষেত্রে যুক্তি দিয়েছেন, মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর বিদ্রোহবিরোধী ধারা লঙ্ঘনের জন্য অঙ্গরাজ্যে ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রাইমারির ব্যালট এবং ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের ব্যালটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।
[৪] ইলিনয়ের এই মামলাসহ অন্যান্য অনুরূপ মামলার চূড়ান্ত ফলাফল সম্ভবত মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবেন। ভোটের ব্যালটে ট্রাম্পের যোগ্যতা সম্পর্কিত যুক্তি ৪ ফেব্রুয়ারি শুনেছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। আদেশের পর বিচারক পোর্টার বলেছেন, তিনি তার সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করছেন। কারণ, ট্রাম্প ইলিনয়ের আপিল আদালতে আপিল করবেন বলে তিনি ধারণা করছেন। তা ছাড়া এ বিষয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি সম্ভাব্য আদেশ আশা করছেন তিনি। ইলিনয়ের ভোটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেয় ফ্রি স্পিচ ফর পিপল। তারা এক বিবৃতিতে এই আদেশকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
[৫] ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। তার নির্বাচনী প্রচারণার এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি একটি অসাংবিধানিক আদেশ। তারা দ্রুত আপিল করবেন। এর আগে মার্কিন সংবিধানের একই সংশোধনীর একই ধারা উল্লেখ করে কলোরাডো ও মেইনের আদালত অঙ্গরাজ্য দুটির প্রাইমারির ব্যালটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। ট্রাম্প আপিল করায় উভয় সিদ্ধান্তই স্থগিত আছে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসআই/আইকে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :