ইমরুল শাহেদ: তুরস্ক থেকে ইসরায়েলি পর্যটকদের অপহরণের একটি ইরানি পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা যখন তুঙ্গে তখন একজন উর্ধ্বতন ইসরায়েলি কূটনীতিক আঙ্কারা সফরে পৌঁচেছেন। তার এই সফর রাজনৈতিক বিচারেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলার চেষ্টা করছে তুরস্ক। আল-জাজিরা
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেয়ার লেপিড এবং কয়েকজন কর্মকর্তা নাগরিকদের তুরস্ক ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছেন। যারা তুরস্কে রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়ে, যাদের তুরস্কে অবস্থান করতেই হবে তাদেরকে হোটেলে থাকতে বলেছেন।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিহত হওয়া ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান এই পরিকল্পনা করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারা মনে করছে, ইরানের তথাকথিত এই অভিযান তুরস্কের সহযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যাপারে তুর্কি কর্তৃপক্ষ আরো সংযত হয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক একটি নিরাপদ দেশ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে।’
ইস্তাম্বুলের ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষক সুহা সুবুকউগলু বলেছেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল দ্বন্দ্বে কোনো দিকে যুক্ত হতে চাইছে না তুরস্ক। দেশটি উল্টো একটি বার্তা দিয়েছে, ইরান পরিকল্পিত এমন ধরনের কোনো অভিযানকেও সমর্থন করে না তুরস্ক, বিশেষ করে তুরস্কের মাটিতে।’
তিনি বলেছেন, বুধবার থেকে আঙ্কারা সফর শুরু করেছেন সৌদির ডি ফ্যাক্টো নেতা ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তুরস্ক আঞ্চলিক তিনটি শক্তিশালী দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে।
গত বছর তুরস্ক এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মিসর। সেই তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ইসরায়েল ও ইরান।
আপনার মতামত লিখুন :