ইমরুল শাহেদ: আফগানিস্তানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তারা আফগানিস্তানকে মানবিক সহায়তা প্রদানে উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়া জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিপর্যস্ত আফগানিস্তানকে সহায়তা প্রদানের বিষয়টিকে বিবেচনা করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাপান মন্ত্রিসভার ডেপুটি চিফ সেক্রেটারি সেইজি কিহারা এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্থানীয় চাহিদাগুলো বুঝতে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে সরকার। পাশাপাশি ‘তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের’ পদক্ষেপ সমন্বয় চলছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়া আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাকতিকা ও নানগারহার প্রদেশের চারটি জেলা প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে সহস্রাধিক মানুষ। আহত বলা হয়েছে দেড় হাজার। আফগানিস্তান এখন মানবিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। তালিবানদের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আবদুল কাহার বালখি বলেছেন ‘এখন মানুষকে যেভাবে সাহায্য করা দরকার, তালিবান সরকারের এখন অর্থনৈতিক দিক থেকে সেভাবে সাহায্য করার সামর্থ্য নেই’। রাজনৈতিক মনোভাব পরিত্যাগ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তারা সাহায্য কামনা করেছেন। বিবিসি
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে দুর্যোগ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো পুরো শক্তি নিয়ে কাজ করছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক দল, চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, খাদ্য এবং জরুরি আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা- এসব কর্মকাণ্ড চলছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে।
তালিবানদের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল কাহার বলখি বলেছেন, সাহায্য সংস্থা, প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্বশক্তিগুলো সাহায্য করছে। কিন্তু তার মতে, সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ এটি একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প, যা কয়েক দশকের মধ্যে হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :