ইমরুল শাহেদ: [২] শুধু চীন নয়, বৃহস্পতিবারের শুনানিতে জাপান, ইরাক, জর্ডান, ইরান, আয়ারল্যান্ডও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আদালতে সুদৃঢ় যুক্তি তুলে ধরে। তারা বলেছেন, এজন্য ইসরায়েলকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। সূত্র: ফিলিস্তিন ক্রোনিকল
[৩] ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলছে শুনানি। সেখানে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়েছে চীন। দেশটির প্রতিনিধিরা বলেছেন, বহির্বিশ্বের নিপীড়ন প্রতিরোধে শক্তি প্রয়োগ ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনি জনগণের পূর্ণ অধিকার। জাপানও সুষ্ঠু সমাধান হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্র বা স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেছে।
[৪] আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল দখলের আইনি পরিণতি সম্পর্কে গণশুনানি শুরু হয়েছে। এই প্রথম জাতিসংঘ শীর্ষ আদালতকে মতামত দিতে বলে হয়েছে। এই শুনানি চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
[৫] ছয়দিনের এই শুনানিতে বিশ্বের ৫২টি দেশ এবং তিনটি সংস্থা (আরব লীগ, অর্গেনাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন) পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম ইসরায়েলের দখল করে রাখা নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করবেন। তবে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকরা মামলার সঙ্গে এই শুনানির কোনো সংযোগ নেই।
[৬] জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আহ্বানে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের আইনি বৈধতা নিয়ে চলা শুনানির চতুর্থ দিনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা মা সিনমিন বলেন, চীন ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার পুনরুদ্ধারে তাদের ন্যায়সঙ্গত চাওয়াকে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে।
[৭] চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একাধিক অনুষ্ঠানে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘একটি সমন্বিত যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন প্রশ্নের দ্রুত মীমাংসা করা দরকার।’ চীনা প্রতিনিধি আরও বলেন, আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায়ে বিদেশি নিপীড়ন প্রতিরোধে শক্তি প্রয়োগ ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ফিলিস্তিনি জনগণের অত্যন্ত যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার।
[৮] গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দেয় ইরান, ইরাক ও জর্ডান। অন্যদিকে, সাত অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা জানালেও আয়ারল্যান্ডের দাবি, আন্তর্জাতিক আইনে আত্মরক্ষার যে সীমা, তা ছাড়িয়ে গেছে তেল আবিব। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আইএস/আইকে/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :