রাশিদুল ইসলাম: [২] নিউইয়র্ক ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) মিয়ানমারে সাংবাদিক ফো থিহাকে হত্যার ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং জবাবদিহিতার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ফোকে হত্যার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেছে সিপিজে। ইরাবতি
[৩] এক বিবৃতিতে সিপিজে-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিনিধি শন ক্রিস্পিন বলেছেন, ‘আমরা সাংবাদিক ফো থিহা হত্যার তীব্র নিন্দা করছি, দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার করার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।
[৪] গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, রাখাইন রাজ্যের মরাউক-উ শহরে অবস্থিত জান্তার ৫৪০ তম ব্যাটালিয়নের দ্বারা সাংবাদিক ফো থিহাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
[৫] শন ক্রিস্পিন বলেন, ২০২১ সালে গণতন্ত্র স্থগিতকারী অভ্যুত্থানের পর থেকে দায়মুক্তির সংস্কৃতি মিয়ানমারে গভীর শিকড় গেড়েছে। জান্তাকে অবশ্যই হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং সাংবাদিকদের রক্ষা করতে হবে।
[৬] ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফো থিহাকে জান্তা সেনা ও পুলিশ ম্রাউক-ইউ লোকালয়ে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ৫০৫(এ) ধারায় অভিযুক্ত করার পর ম্রাউক-ইউ মায়োমা থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
[৭] এরপর কো কিয়াও জান ওয়াই (ওরফে) ফো লা প্যায়ে (ওরফে) রেইন শুট, কো কিয়াউ থেইন হ্লাইং, কো কিয়াউ উইন হ্লাইং, কো কো ন্যুন্ট, কো উইন নাইন এবং কো পায়ে সোনে উইন সহ ফো থিহার মৃতদেহ আরাকান আর্মির যোদ্ধারা মরাউক-উ শহর দখল করার পর উদ্ধার করে। কো নি নি অং (ওরফে) অং জাও উইন এবং ইউ কিয়াও ন্যুন্ট নামে আরও দুই রাজনৈতিক বন্দিকে মিনবিয়াতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
[৮] সাংবাদিক ফো থিহা রাখাইন-ভিত্তিক মিডিয়া সংস্থাগুলির সাথে ডিভিবি, সেভেন ডে নিউজ, দি ভয়েসসহ বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে সাংবাদ পাঠাতেন।
[৯] মিয়ানমার সিপিজে’র সর্বশেষ বৈশ্বিক দায়মুক্তি সূচকে ৯ম স্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের জেল শুমারি অনুসারে, মিয়ানমার সাংবাদিকদের জন্যে বিশ্বের দ্বিতীয়-নিকৃষ্ট কারাগার হিসেবে পরিচিত।
আপনার মতামত লিখুন :