রাশিদুল ইসলাম: [২] পাকিস্তানের ভোট জালিয়াতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করার পর পদত্যাগ করে রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চাট্টা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার সকালে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রমাণ বা নথি গোপন করার শঙ্কায় তার কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। ডন/এক্সপ্রেসে ট্রিবিউন
[৩] এদিকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পিটিআই রাওয়ালপিন্ডি কমিশনারের অভিযোগের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে। ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিটিআই-এর গোহর আলী খান বলেন, এই প্রথম একজন কমিশনার তার বিবেক অনুযায়ী সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। তাই তার অভিযোগের উপর একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের পর তদন্ত করা উচিত, ফলাফল জনগণের সাথে ভাগ করে নেওয়া উচিত।
[৪] পুলিশ জানিয়েছে, লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে, নির্বাচনে কারচুপির দায় স্বীকারের পর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লিয়াকত আলীকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে।
[৫] জেলা প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনি সরঞ্জাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা, ভোটের সরঞ্জাম এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
[৬] এদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে। তবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) রাওয়ালপিন্ডির ওই কমিশনারের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
[৭] পিএমএল-এন নেতা রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, রাওয়ালপিন্ডির কমিশনারকে একজন সাইকো বলে মনে হয়েছে এবং সে কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন।
[৮] পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নির্বাচনী জালিয়াতির এই অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছে। দলটির তথ্য সচিব মরিয়ম আওরঙ্গজেব কমিশনার চাতার ব্যবহৃত সমস্ত যোগাযোগ চ্যানেলের গভীর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং তার নাম বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকায় (ইসিএল) রাখার দাবি জানিয়েছেন।
[৯] লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওরঙ্গজেব বলেন, এই কমিশনার কোনও আরও বা ডিআরও ছিলেন না, যারা নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কাজ সম্পাদন বা বাস্তবায়নে কমিশনারের কোনও সাংবিধানিক দায়িত্ব বা কর্তৃত্ব নেই।’
আপনার মতামত লিখুন :