রাশিদুল ইসলাম : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে চলা সব ধরনের আইনি কার্যক্রম আদালত কক্ষ থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সেনা সরকার। কোনো ধরনের ব্যাখ্যা ছাড়াই সেনা সরকার এই নির্দেশ দেয়। সু চির মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বুধবার এ কথা জানিয়েছে। রয়টার্স
নোবেল বিজয়ী সু চির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের কমপক্ষে ২০টি মামলা রয়েছে। গত বছরের শুরুর দিকে ক্ষমতাচ্যুত হন ৭৭ বছর বয়সী এই নেত্রী। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
সু চিকে রাজধানী নেপিডোর একটি অজ্ঞাত স্থানে বন্দী রাখার অনুমোদন দিয়েছেন সেনা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং। উসকানি ও কয়েকটি ছোট অপরাধের ঘটনায় ইতিমধ্যে সু চির সাজা হয়েছে। তবে তিনি সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নেপিডোর কারাগারের নতুন একটি বিশেষ আদালতে মামলাগুলোর শুনানি স্থানান্তর করা হবে। আদালত বসানোর জন্য নতুন একটি ভবন প্রস্তুত হয়েছে বলে বিচারক ঘোষণা দেন।
সু চির ম্যারাথন বিচার প্রক্রিয়া এতদিন রুদ্ধদ্বার আদালতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে শুধু সীমিত তথ্য দেওয়া হয়ে থাকে। এ নিয়ে বাইরে কথা বলার বিষয়েও সু চির আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ ছাড়া শুধু আদালত চলাকালে তিনি সু চির সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
মিয়ানমার কোন ধরনের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সু চি সেটা কতটুকু জানেন, তা স্পষ্ট নয়। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে। নিজেদের ক্ষমতা পোক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে সেনা সরকার। তারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :