শিরোনাম
◈ ভারতে শেখ হাসিনা আশ্রয় পেতে যাচ্ছেন দালাই লামার মতোই! ◈ কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের নিউজ কোথায়, প্রশ্ন আওয়ামী লীগের ◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৩৮ দুপুর
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০১:৩১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে বাধ্যতামূলক যুদ্ধে পাঠানোয় তরুণরা উল্টো বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে 

রাশিদুল ইসলাম: [২] মিয়ানমারের জান্তা সরকার ১৮ থেকে ৩৫ বছরের তরুণদের যুদ্ধে নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার পর দেশটির নাগরিকরা হতবাক হয়ে পড়েছেন। ইরাবতির এক বিশ্লেষণ বলছে এ আইনের মাধ্যমে, মিয়ানমারের জেনারেলরা তাদের নিজস্ব কবর খনন করছে। 

[৩] বিমানে উঠলেও জান্তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হচ্ছে তরুণদের। ফলে উৎকোচ দিয়ে হলেও হাজার হাজার তরুণ দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। কিংবা পালিয়ে দেশত্যাগের পথ ধরেছে। 

[৪] ইতিমধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান স্থগিত করেছে জান্তা কর্তৃপক্ষ। দেশটির নাগরিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে কর্তৃপক্ষ বেসামরিক লোকদের যুদ্ধে যেতে সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। এ আইনটি তরুণদের শাসক বিরোধী বিদ্রোহী শক্তিতে যোগ দিতে তাদের আরো সক্রিয় করে তুলবে। 

[৫] তবে দুই বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের পর তরুণদের সশস্ত্র বিদ্রোহী প্রতিরোধে যোগদানের কোনো কমতি নেই। পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এর জন্য লড়াইকারী স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এদের বেশিরভাগই সম্পূর্ণ সশস্ত্র বা প্রশিক্ষিত নয়।

[৬] জান্তা আইনের অধীনে-আনুষ্ঠানিকভাবে পিপলস মিলিটারি সার্ভিস আইন দেশটির সমস্ত তরুণ-তরুণীকে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করার জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ মিয়ানমারের যুব জনসংখ্যা আনুমানিক ১০ মিলিয়ন বলে অনুমান করেছিল - তারপর থেকে এটি বৃদ্ধি  পেয়েছে।

[৭] ৬৫ বছর আগে প্রথম জারি করা আইনটি মিয়ানমারে আগের সরকারগুলি কখনই প্রয়োগ করেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিদ্রোহী প্রতিরোধ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনা সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

[৮] মিয়ানমারের হাজার হাজার সেনা বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, পালিয়ে গেছে বা নিহত হয়েছে। বিদ্রোহীদের কাছে দেশটির অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ জান্তা সরকার হারিয়েছে। 

[৯] জান্তা সরকার প্রবীণ সেনার পাশাপাশি অপরাধী ও ছুটি ছাড়া অনুপস্থিত সেনাদের যুদ্ধে ফিরিয়ে আনছে। শ্রমজীবিদের যুদ্ধে যেতে বাধ্য করছে। এটা সামরিক বাহিনীর জনবল সংকটের তীব্রতার লক্ষণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়