সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ১২ বছর পর মিসর সফরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগানকে বুধবার কায়রো পৌঁছুলে তাকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। পরে এরদোগান ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল-সিসির মধ্যকার বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং গাজা সংকট নিয়ে আলোচনা করা হয়। সূত্র: আল-আহরাম, আল-জাজিরা, মিডলইস্টআই
[৩] ২০১২ সালের পর এরদোগানের এ সফরকে দুই আঞ্চলিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করার সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিসরের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও এরদোগানের বন্ধু মুহাম্মাদ মুরসিকে উৎখাত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে বৈরি সম্পর্কের সৃস্টি হয়। তবে ২০২১ সাল থেকে পর্দার অন্তরালের কূটনীতির মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। এরপর ২০২২ সালে এরদোগান-সিসির মধ্যে প্রথম বৈঠক হয় কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল চলার সময়।
[৪] দুই নেতা বুধবার কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। উভয়ে একে সম্পর্কের নতুন যুগের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন। তারা কয়েক বছর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর দেড় হাজার কোটি ডলার করে বানিজ্য বৃদ্ধি এবং মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সহযোগিত জোরদারে সম্মত হয়েছেন। এরদোগান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মিসর এখনও আফ্রিকায় তুরস্কের বৃহত্তম বানিজ্যিক অংশিদার।
[৫] কায়রোয় মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থায় গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা জোরদার হওয়ার মধ্যে এরদোগান মিসর সফর করলেন। হামাস সদস্যদের এ আলোচনা যোগদানের জন্য কায়রো যাওয়ার কথা রয়েছে। এরদোগান বলেছেন, তিনি গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে সিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রায় চার মাস ধরে চলা এ হামলায় গাজার ২৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
[৬] এরদোগান ও সিসি উভয়ে ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের জবরদখল ও গণহত্যার নীতির নিন্দা করেছেন। রাফাহতে ইসরায়েলি স্থল হামলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে এ উন্মত্ত ঘটনা ঘটা রোধ করতে দুই নেতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা না ঘটে। সিসি গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা সৃষ্টিরও সমালোচনা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :