ইমরুল শাহেদ: জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে জান্তাদের পরিকল্পনা যুদ্ধাপরাধ বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এনডিটিভি
জান্তারা বলেছে, ৩ জুলাই এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার জনের মধ্যে দুজন হলেন -অং সান সুচির দলের একজন পার্লামেন্ট সদস্য এবং একজন হলেন সুপরিচিত গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিককর্মী। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর এটাই হবে প্রথম বিচাররিক মৃত্যুদণ্ড।
জান্তা সরকাররের মুখপাত্র জো মিন তুন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পার্লামেন্ট সদস্য পাইয়ো জেয়া থো এবং গণতন্ত্রপন্থী কো জিম্মিকে কারানিয়ম অনুসারে ফাঁসির মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম প্রধান নিকোলাস কউমজিয়ান বলেছেন, তিনি বিষয়টি আগাগোড়াই প্রত্যক্ষ করছেন।
গোপন এই বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এই বিচারে অভিযুক্তদের মৌলিক অধিকার পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ন্যায্য বিচারের মৌলিক প্রয়োজনীয়তাগুলো পূরণ না করে এমন বিচারের ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড, বা আটকে রাখার মেয়াদ আরোপ করা মানবতা বা যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক অপরাধ গঠন করতে পারে।
গত বছর ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার পর জান্তারা অনেক রাজনৈতিককর্মীকে কারাগারে পুরেছে, নয়তো মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। কিন্তু গত তিন দশকে যা করা হয়নি, দেশটিতে এখন তাই করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :