ববি বিশ্বাস: [২] আল-জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের ইবনে সিনা হাসপাতালে যখন সবাই ঘুমাচ্ছিল তখন গোপন অপারেটিভদের দ্বারা এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।
[৩] ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, যারা নিহত হয়েছে তারা হামাসের একটি ‘সন্ত্রাসী সেল’ এর অন্তর্ভুক্ত এবং তারা ইবনে সিনা হাসপাতালে লুকিয়ে ছিল। অপরদিকে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তিন যুবককে দখলদার বাহিনী দ্বারা হত্যার কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে।
[৪] আল-জাজিরা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনলাইনে প্রকাশিত একটি নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, প্রায় এক ডজন আন্ডারকভার কর্মী যার মধ্যে তিনজন নারীর পোশাক এবং দুজন মেডিকেল স্টাফের পোশাক পরা, অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে হাসপাতালের একটি করিডোর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
[৫] এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় হামাস একটি বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই অপরাধগুলো বিনা শাস্তিতে চলতে দেয়া হবে না। হামাস আরও বলে, এই হত্যাকাণ্ডগুলো ‘গাজা থেকে জেনিন পর্যন্ত আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার বাহিনীর চলমান অপরাধের ধারাবাহিকতা।’
[৬] হামাসের বিবৃতি থেকে জানা যায়, নিহত তিনজনের মধ্যে জালামনেহ সংগঠনটির সদস্যদের একজন, বাসিল গাজাভি জেনিন ব্যাটালিয়নের অংশ ছিলেন এবং মোহাম্মদ গাজাভিও একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ছিলেন। বাসিল ও গাজাভি সম্পর্কে এক অপরের ভাই ছিলেন।
[৭] স্থানীয় মিডিয়ায় দেয়া এক বক্তব্যে মোহাম্মদ ও বাসিল গাজাভির মা জানান, নিহত দুই ভাই সকলের কাছে প্রিয় ছিলেন। বাসিল চার মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মা শেষবার দুই ভাইকে দেখেন সোমবার রাত ৯টায়। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি জানতে পারেন তার দুই সন্তানকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেছে ইসরায়েলের বিশেষ বাহিনী। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :