ইমরুল শাহেদ: জ্বালানি সংকটের কারণে দেশটি ইতোমধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার বন্ধ করা হলো সরকারের জন্য অপরিহার্য নয়, এমন সার্ভিসগুলো। নিঃশ্বেষের পথে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া জ্বালানি রিজার্ভ রক্ষা করার জন্য দুই সপ্তাহের শাটডাউনও শুরু করেছে। এছাড়া সম্ভাব্য বেইলআউটের জন্য আলোচনা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের সঙ্গে। জিওটিভি
শ্রীলংকার জনসংখ্যা ২২ মিলিয়ন। দেশটি এখন রয়েছে অর্থনৈতিকভাবে গভীর সংকটে। আমদানির জন্য যে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন, তার কোনো রিজার্ভ নেই দেশটিতে। এজন্য জ্বালানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না।
পেট্রোল-ডিজেল রক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি হাসপাতাল ও কলম্বোর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
জ্বালানিমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী তিন দিনেও নতুনভাবে পেট্রোল ও ডিজেল পাওয়া যাবে না। তারপরও হাজার হাজার যান পেট্রোল ও ডিজেলের জন্য অপেক্ষা করছিল।
দেশটি এপ্রিল মাসেই ৫১ বিলিয়ন ডলার বিদেশী ঋণের খেলাপি হয়েছে। তার মধ্যেই সহায়তা চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের।
এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কলম্বোতে আলোচনা শুরু হয়েছে সোমবার। চলবে ১০ দিন। আইএমএফ এবং শ্রীলংকা সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল উইকরেমেসিঙ্গে সফররত অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নেইলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অর্থনৈতিকভাবে বিপন্ন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী সম্পর্ক গভীর করা এবং সহায়তা বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :