ইমরুল শাহেদ: [২] রোববার তাদের তেহরানের একটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারা হলেন নিলুফার হামেদি (৩১) এবং এলাহে মোহাম্মদী (৩৬)। ইরানের কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির (২২) মৃত্যু পর সংবাদ পরিবেশনার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের অকুতোভয় সাংবাদিকতার জন্য ২০২২ সালে গোটা ইরানজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সাময়িকভাবে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
[৩] সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা দু’জনই কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্ত থাকবেন। এজন্য তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ ডলার করে জামানত দিতে হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, জামিনে থাকা অবস্থায় তাদের কেউ দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
[৪] বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কঠোর ইসলামি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] ইরানের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আগে থেকে বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, তথ্যপ্রমাণ বলছে, নীতি পুলিশের ‘মারধরের’ কারণে মাসা আমিনি মারা গেছেন।
[৬] সাংবাদিক নিলুফার হামেদি ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘে কাজ করতেন। তিনিই প্রথম মাসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করেন। মোহাম্মদী কাজ করতেন আরেক সংস্কারপন্থী হাম-মিহান পত্রিকায়। তিনি মাসা আমিনির নিজ শহরে তাঁর দাফন-কাফনের খবর সংগ্রহ ও প্রচার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে শত শত শোকার্ত মানুষ মাসা আমিনির জন্য কেঁদেছিলেন, তারা কীভাবে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছিলেন।
আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :