শিরোনাম
◈ ঢাবিতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনই ছাত্রলীগের আটক ছয়জনের মধ্যে ! ◈ ভারতের মণিপুরে প্রতিবেশী দেশ থেকে ঢুকে পড়েছে ৯০০ যোদ্ধা, জানালেন কুলদীপ সিং ◈ ভারতে ‘উদ্বাস্তু’ শেখ হাসিনা, হস্তান্তর নিয়ে নানা মত ! ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরসহ আশপাশ হর্ন মুক্ত ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা ◈ ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার দায় স্বীকার ৬ শিক্ষার্থীর ◈ জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বাগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস ◈ ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে মডেল আভা লুইস পরনের টপ তুলে বক্ষযুগল প্রদর্শন ! ◈ ১৪৯ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস, ৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত ◈ সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে, অস্ত্র-ড্রোন উদ্ধার ◈ কেন হেলমেটের ফিতা কামড়ান সাকিব, যে ব্যাখ্যা দিলেন তামিম

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাসা আমিনির খবর প্রচার করে কারাদণ্ড পাওয়া ২ ইরানি নারী সাংবাদিক জামিনে মুক্ত

ইমরুল শাহেদ: [২] রোববার তাদের তেহরানের একটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারা হলেন নিলুফার হামেদি (৩১) এবং এলাহে মোহাম্মদী (৩৬)। ইরানের কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির (২২) মৃত্যু পর সংবাদ পরিবেশনার জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের অকুতোভয় সাংবাদিকতার জন্য ২০২২ সালে গোটা ইরানজুড়ে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, তাদের সাময়িকভাবে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

[৩] সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা দু’জনই কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তারা জামিনে মুক্ত থাকবেন। এজন্য তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ ডলার করে জামানত দিতে হয়েছে। বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, জামিনে থাকা অবস্থায় তাদের কেউ দেশত্যাগ করতে পারবেন না। 

[৪] বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কঠোর ইসলামি পোশাকবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন মাসা আমিনি। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশি হেফাজতে মারা যান। তার মৃত্যুর জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

[৫] ইরানের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আগে থেকে বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, তথ্যপ্রমাণ বলছে, নীতি পুলিশের ‘মারধরের’ কারণে মাসা আমিনি মারা গেছেন।

[৬] সাংবাদিক নিলুফার হামেদি ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘে কাজ করতেন। তিনিই প্রথম মাসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করেন। মোহাম্মদী কাজ করতেন আরেক সংস্কারপন্থী হাম-মিহান পত্রিকায়। তিনি মাসা আমিনির নিজ শহরে তাঁর দাফন-কাফনের খবর সংগ্রহ ও প্রচার করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে শত শত শোকার্ত মানুষ মাসা আমিনির জন্য কেঁদেছিলেন, তারা কীভাবে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে প্রতিবাদী স্লোগান দিয়েছিলেন।

আইএস/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়