ইমরুল শাহেদ: আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশে এই অস্ত্র চালান আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তালিবানরা। জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব ইনটেলিজেন্স (জিডিআই) ও আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে, প্রতিবেশি পাকিস্তানে এই অস্ত্র পাচার হচ্ছিল। হিন্দুস্তান টাইমস
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে কানাডাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক থেকে সতর্ক করা হয়েছিল, তালিবান শাসিত আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে অবাধে পাচার হওয়া অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ভারত সীমান্তে।
ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস এ্যান্ড সিকিউরিটি বলেছে, ‘তালিবানরা জোর দিয়ে বলেছে, তারা অস্ত্র পাচারের ব্যাপারে সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি বাড়িয়েছে। কারণ তারা উন্নত ধরনের তালিবান। কিন্তু অস্ত্রের বাজার বাড়ছে এবং পাকিস্তানে যেসব অস্ত্র চলে গেছে সেগুলো দিয়ে ভারত সীমান্তে ছোটখাট হামলা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এজন্য পাকিস্তানও সংকটে পড়তে পারে। দেশটির মাটি থেকে যখন বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, তখন তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র জমা হবে। সে অস্ত্র পাকিস্তানের জন্য শাখের কারাত হয়ে উঠতে পারে।
গত বছরের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র তড়িঘড়ি আফগানিস্তান ত্যাগ করে। তাদের অনেক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম আফগান বাহিনীর হাতে রেখে যায়। আফগান বাহিনী সরে যাওয়ার সময় যেসব অস্ত্র ফেলে যায় সেগুলো পেয়েছে তালিবানরা।
থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র আফগানিস্তানের খোলা বাজারে বিক্রি হয়। পাচারকারীরা অস্ত্র সংগ্রহ করে আফগান সেনাদের পরিত্যক্ত স্থাপনা থেকে। সেগুলো তারা কিনে নিচ্ছে আফগান সেনা ও তালেবান যোদ্ধাদের কাছ থেকে। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগই বিক্রি হয় অস্ত্রবাজারে এবং আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের উপজাতি এলাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :