ইমরুল শাহেদ: গত কয়েক সপ্তাহে তৃতীয় দফা জ্বালানির দাম বাড়ানোর পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, সরকারের জন্য অন্য কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি। কারণ আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের সঙ্গে অত্যন্ত ‘বাজে’ একটা চুক্তি করে রাখা হয়েছে। ডন
বুধবার অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল পেট্রোলের দাম আরো ২৪ রুপি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। রাজস্ব ঘাটতি কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ তহবিলের সমর্থন আদায় করাও এই উদ্যোগের একটা লক্ষ্য। গত ২৬ মে থেকে এ পর্যন্ত পেট্রোলের দাম ৮৪ রুপি বাড়ানো হয়েছে। পিটিআই সরকার গত ফেব্রুয়ারি থেকে যে ভর্তুকি চালু করেছিল, তাও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৫৯ রুপি। সে হিসেবে বর্তমানে পাকিস্তানের লিটার পিছু পেট্রল এবং ডিজেলের দাম গিয়ে ঠেকেছে যথাক্রমে ২৩৪ এবং ২৬৩ রুপিতে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু পেট্রল বা ডিজেলই নয়, পাকিস্তানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কেরোসিনের দামও। পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতি লিটার কেরোসিন বিক্রি হচ্ছে ২১২ রুপি করে। এমন অবস্থায় পাকিস্তানের বর্তমান সরকার দোষারোপ করছে সাবেক ইমরান খানের সরকারকে।
ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল অভিযোগ করেন, ইমরানের সরকারের নীতির কারণে পাকিস্তানের আজকের এই বেহাল দশা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভর্তুকি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রলের দাম কমিয়েছিলেন এবং বর্তমান সরকারকে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে। মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের মতে, পাকিস্তান প্রতি লিটারে পেট্রলে ২৪.০৩ রুপি, ডিজেলে ৫৯.১৬ রুপি, কেরোসিন তেলে ৩৯.৪৯ রুপি এবং লাইট ডিজেল তেলে ৩৯.১৬ রুপি ক্ষতি বহন করছে। মে মাসে জ্বালানি তেল বিক্রির থেকে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন রুপি ছাড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :