সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] আকাশে উড়ছিল একঝাঁক পাখি। এ অবস্থায় পাখিগুলো মরে নিচে পড়ছিল। ঘটনাটি চীনের গুয়াংঝি অঞ্চলের লাইবিন এলাকার। সেখানকার একটি ভবনের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সূত্র: দ্য মেট্রো
[৩] প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পাখিগুলো পড়ে যাওয়ার আগে গোল হয়ে চক্কর দিচ্ছিল। ছোট আকারের এই পাখির নাম সোয়ালো। আবাবিল নামেও এটি পরিচিত। যুক্তরাজ্যের পত্রিকা মেট্রোর এক খবরে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শীতে পরিযায়ী এই পাখির মৃত্যু হয়েছে।
[৪] সোয়ালো পাখি দেখতে ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয়। আকৃতি হয় ১৬ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার। মসৃণ, সুবিন্যস্ত শরীর আর চমৎকার ওড়াউড়ির ক্ষমতা রয়েছে এই পাখির। শীতকালে এসব পাখির খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়লে তারা অপেক্ষাকৃত কম ঠান্ডা অঞ্চলে পাড়ি দেয়।
[৫] সোয়ালো পাখি গাছের ডালে অন্যান্য পাখির মতো বসতে পারে না। এদের পা ছোট, নখর বড়শির মতো। তবে নখরের আঁকশিতে ভর করে ঝুলে বসতে পারে। আকাশে ওড়াই এদের জীবন। ঝাঁক বেঁধে ওড়া এই পাখি খেলুড়ে ও ফুর্তিবাজ। এদের শরীরের কাঠামো, ওড়ার গতি ও ছন্দ, ওপর-নিচ করার দক্ষতা ও আচমকা দিক বদলের ক্ষমতা ফাইটার বা বোমারু বিমানের কথাই মনে করিয়ে দেয়। এদের দেহকাঠামো তথা ডানা, লেজের গড়ন ও ধরনের সঙ্গে মিল পাওয়া যায় বিশ্বের দু-তিন রকম অত্যাধুনিক জঙ্গি বিমানের।
[৬] মাটি থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ ফুট বা তারও ওপরে এরা ছোট–বড় ঝাঁকে চক্রাকারে উড়ে বেড়ায়। উড়ে উড়েই এরা ছোট ছোট পোকা খায়।
[৭] অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই সোয়ালো পাখির দেখা পাওয়া যায়। এরা দল বেঁধে বাসা বানায়। বাসার আকৃতি হয় কাপের মতো। পাথর ও পাহাড়ের খাঁজে, ভবনের ছাদে, পরিত্যক্ত ভবনসহ নানা জায়গায় এরা বাসা বাঁধে। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :