সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে পণ্যবাহী এ ইসরায়েলি জাহাজ জব্দ করে। রোববার লোহিত সাগরের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্রিটিশ মালিকানাধীন জাপানি ওই জাহাজ হুথি সদস্যরা আটক করে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুথিদের এই ঘটনা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে ইরানকে দায়ী করে ইসরায়েল বলেছে, এটি ইরানের ‘সন্ত্রাসবাদী’ কর্মকাণ্ড। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স
[৩] গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়ে গাজায় নির্বিচার ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করে। পরে তার সঙ্গে স্থল হামলা চালায়। গাজায় সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি নৃশংস হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুথি যোদ্ধারা।
[৪] গত সপ্তাহের ইয়েমেনের এই বিদ্রোহীরা বলেছিলেন, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলার পরিমাণ আরও বাড়াবেন।একই সঙ্গে লোহিত সাগর এবং বাব আল-মান্দেব প্রণালীতে ইসরায়েলি সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর হুমকি দেন তারা।
[৫] পণ্যবাহী জাহাজ জব্দ করার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে হুথিদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রোববার হুথির একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ইসরায়েলি কোম্পানিগুলোর মালিকানাধীন, পরিচালিত কিংবা ইসরায়েলি পতাকা বহনকারী সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।
[৬] যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা লোহিত সাগরে জাহাজ জব্দের বিষয়ে অবগত এবং এই ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
[৮] ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, একটি জাহাজ জব্দ করা হয়েছে। এই জাহাজ ইসরায়েলের মালিকানাধীন নয়। এমনকি এটি পরিচালনা কিংবা এতে ইসরায়েলি কোনো স্ক্রুও নেই। জাহাজটির নামও প্রকাশ করেনি ইসরায়েল। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাহাজটি লোহিত সাগরে আটক করা হয়েছে।
এসআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :