মাসুম বিল্লাহ: ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১০ লাখ বেকারের চাকরির চাকরির ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সংশিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন যেন আগামী ১৮ মাসে সরকারি শূন্যপদে ১০ লাখ লোককে নিয়োগ দেয়া হয়। খবর নিউজ ১৮

এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এল যখন বিরোধীরা ভারতে বেকারত্বের প্রসঙ্গ তুলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সোমবার টুইট করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী সমস্ত বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে মানব সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন যে সরকার আগামী দেড় বছরে ১০ লাখ লোক নিয়োগ করবে।’

এই বছরের শুরুর দিকে বিজেপি সরকার সংসদে জানিয়েছিল, ২০২০ সালের ১লা মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি বিভাগগুলিতে ৮.৭২ লাখ শূন্য পদ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ লাখেরও বেশি অনুমোদিত, কিন্তু ৩২ লাখেরও কম কর্মচারী রয়েছে। সরকার বছরের পর বছর ধরে এই শূন্যপদগুলি পূরণের চেষ্টা করছে, তবে খুব বেশি সাফল্য পায়নি।

সর্বাধিক শূন্যপদগুলি বড় মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলিতে যেমন ডাক, প্রতিরক্ষা (বেসামরিক), রেলওয়ে এবং রাজস্ব। রেলওয়েতে প্রায় ১৫ লক্ষ অনুমোদিত পদের বিপরীতে, রেল মন্ত্রালয়ে প্রায় ২.৩ লক্ষ পদ খালি রয়েছে।

প্রতিরক্ষা (সিভিল) বিভাগে, প্রায় ৬.৩৩ লাখ কর্মচারীর অনুমোদিত শক্তির বিপরীতে প্রায় ২.৫ লাখ শূন্যপদ রয়েছে। ডাক বিভাগে মোট ২.৬৭ লাখ কর্মচারীর মঞ্জুরিকৃত শক্তির বিপরীতে প্রায় ৯০,০০০টি শূন্যপদ রয়েছে যেখানে রাজস্ব বিভাগে, ১.৭৮ লক্ষ কর্মচারীর মোট অনুমোদিত শক্তির বিপরীতে প্রায় ৭৪,০০০টি শূন্যপদ রয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০.৮ লাখ অনুমোদিত পদের বিপরীতে প্রায় ১.৩ লাখ পদ শূন্য রয়েছে।

ভারতের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বলেছেন, কর্মীদের তীব্র ঘাটতির কারণে কিছু বিভাগের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নতুন নিয়োগ বিলম্বিত হয়েছে যদিও অবসর নেওয়া হয়েছে এবং এমনকি কয়েক বছর ধরে মন্ত্রণালয়ে কর্মচারীদের অনুমোদিত শক্তি বেড়েছে। এই পদক্ষেপটি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের বেকারত্ব নিয়ে সমালোচনাও কমাতে পারে।