রাশিদুল ইসলাম : মহানবীকে (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে ভারতের উত্তর প্রদেশে আন্দোলনে যুক্ত থাকা লোকেদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। তা নিয়ে রাজ্যে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে ভারতের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দি ওয়াল
এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়া আরো ৮৫ জন মূল অভিযুক্তের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। উত্তর প্রদেশের বেসামরিক কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা ইতিমধ্যে ৩৭ জন অভিযুক্তের তালিকা পেয়েছেন এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। পুলিশ বিক্ষোভে তাদের অভিযুক্ত ভূমিকার জন্য সাতজন নাবালক সহ ৯২ জনকে আটক করেছে।
যোগী আদিত্যনাথ সরকার অবিচল। তারা অভিযান চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। প্রয়াগরাজে মুহম্মদ জাভেদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, গত শুক্রবারের প্রতিবাদ আন্দোলনে ওয়েলফেরার পার্টির এই নেতাই ছিলেন মূল হোতা। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাথর ছোঁড়ে। জাভেদ এখন পুলিশ হেফাজতে। গত পরশু প্রয়াগরাজ ডেভলপমেন্ট অথরিটি তার বাড়ি ভেঙে দেয়।পুলিশ ও প্রয়াগরাজ ডেভলপমেন্ট অথরিটির দাবি বাড়িটি বেআইনি।
কিন্তু কাগজপত্র দেখিয়ে জাভেদের স্ত্রী দাবি করেন বাড়ির মালিক তিনি। তার নিয়মিত পুরকর মিটিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, ইসলামিক আইন অনুযায়ী স্ত্রীর সম্পত্তি স্বামীর হতে পারে না। ফলে জাভেদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া বেআইনি।
কিন্তু সমালোচনার মুখে যোগী সরকার বিন্দুমাত্র দমে না গিয়ে বুলডোজার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত শুধু প্রয়াগরাজ প্রশাসন আরও ৮৬জন অভিযুক্তদের বাড়ি চিহ্নিত করেছে যাদের বাড়ি বেআইনি বলে প্রশাসনের দাবি। প্রশ্ন উঠেছে, বেআইনি বাড়ি হয়ে থাকলে সেগুলির বিরুদ্ধে কেন এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আরও প্রশ্ন উঠেছে, এরপর কি রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকলেও এই ভাবে অভিযুক্তদের ঘর বাড়ি ভেঙে দেবে প্রশাসন!
আপনার মতামত লিখুন :