শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২২, ০৬:০২ বিকাল
আপডেট : ১৪ জুন, ২০২২, ১১:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কয়েক মাসের মধ্যে ভারত যাবেন শেখ হাসিনা, ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্ট

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাশিদুল ইসলাম : মহানবী (সা:) ইস্যুতে বাংলাদেশ বিবৃতি না দেয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সফর তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করছে ইকোনমিক টাইমস। দ্বিপক্ষীয় জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের ( জেসিসি) বৈঠকে যোগ দিতে এ সপ্তাহেই নয়াদিল্লি সফর করবেন মোমেন। কয়েক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর তার ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।

ভারতের অনলাইন ইকোনমিক টাইমসের খবরে আরও বলা হয়, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে বিজেপির মুখপাত্রের অবমাননাকর বক্তব্যের পর বাংলাদেশ এ ইস্যুতে কোনো বিবৃতি দেয়নি। এমনকি ভারতীয় দূতকে তলবও করেনি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাদের এমন অবস্থানের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

যারা এ বিষয়ে জানেন তারা বলছেন, জেসিসির বৈঠক হওয়ার কথা জুনের ১৮ তারিখে অথবা এর আশপাশের কোনো তারিখে। দু’বছর পর এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। এতে কো-চেয়ারে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা আলোচনায় জোর দেবেন যেসব ইস্যুতে তার মধ্যে আছে কানেক্টিভিটি, নদীর পানি বন্টন, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব।

গত মাসে গোয়াহাটিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোমেন। এ সময় তিনি রাশিয়ার তেলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে ম্যানেজ করে সেখানকার অশোধিত তেল আমদানিতে ভারতের পরামর্শ চান। কারণ, বাংলাদেশ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে চায়। 
এর আগে জেসিসির বৈঠক হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে। বাংলাদেশ ও ভারত আরও বেশ কিছু কানেক্টিভিটির উদ্যোগ চালু করেছে। এর মধ্যে আছে ১৯৬৫ সালে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের পর যে রেল সংযোগ পরিত্যক্ত ছিল, তা পুনরুজ্জীবিত করা। এ ছাড়া নৌরুট চালু করা, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি বন্দরগুলোকে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। ওদিকে ২০২১ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। এ কারণে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে উত্তরপূর্ব ভারত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মধ্যে একটি কানেক্টিভিটি লিঙ্ক হিসেবে আবির্ভাব ঘটছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই কানেক্টিভিটি বা সংযুক্তি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের কারণে স্থবির হয়ে আছে। 

বাণিজ্য ও কানেক্টিভিটি ছাড়াও জেসিসির বৈঠকে আরও যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে তার মধ্যে আছে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়, উন্নয়ন সহায়তা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক ইস্যু। উভয় পক্ষ একই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির সুবিধার জন্য ট্রেন সার্ভিস ও ফ্লাইট বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। এসব বাংলাদেশি ভারতে যান পর্যটন ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট কাজে। 

গত এপ্রিলে ঢাকায় এসেছিলেন এস জয়শঙ্কর। গত বছর করোনা মহামারির মধ্যেও ভারতের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়