রাশিদুল ইসলাম : সিএনএন’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে এসব মুসলমান রায়টে অংশ নিয়েছিল। মহানবীকে (সা.) নিয়ে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করে অবমাননাকর বক্তব্যে প্রতিবাদে যে সব মুসলমান অংশ নিচ্ছে তাদের বাড়ি ঘর লক্ষ্য করে এসব উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ‘দাঙ্গায়’ জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। তারা নবী মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল যাদের ভারত সরকারের তরফ থেকে দাঙ্গা বলা হচ্ছে। এধরনের অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ভারতজুড়ে রাস্তায় নেমে এসেছে মুসলমানরা।
বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র জানিয়েছেন, সপ্তাহান্তে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে গত সপ্তাহে দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগে যে কোনও অবৈধ স্থাপনা এবং মানুষের বাড়িঘর ভেঙে ফেলতে হবে। বিবিসি
দাঙ্গার একজন কথিত মাস্টারমাইন্ডের বাড়ি, যার মেয়ে একজন নারী মুসলিম অধিকার কর্মী, রোববার পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে ভেঙে ফেলা হয়। রাজ্যে জুমার নামাজের পর পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত আরও দুই জনের সম্পত্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমার একটি বুলডোজার দিয়ে একটি ভবন ভাঙার ছবি টুইট করে বলেন, তারা যেনো মনে রাখে, প্রতি শুক্রবারের পরে এটি একটি শনিবার। বিরোধী নেতারা বলছেন, আদিত্যনাথের সরকার আন্দোলনকারীদের চুপ করার জন্য অসাংবিধানিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ অশান্তির ঘটনায় ৩০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করেছে। কিছু কট্টর হিন্দু গোষ্ঠী বিজেপি নেতাদের এধরনের বক্তব্যকে তাদের সাহসী এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি আইন প্রয়োগ করে ১৬ জুন পর্যন্ত হাওড়ার শিল্প জেলায় জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি একটি বিক্ষোভ সমাবেশে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজ্যে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করেন। পুলিশ কর্মকর্তা সুরেন্দ্র কুমার ঝা জানান, রাঁচি এবং অন্যান্য এলাকায় এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :