রাশিদ রিয়াজ : জরিপ বলছে দেশটির সবচেয়ে দরিদ্র ৪০ শতাংশ পরিবার মাত্র ২৬,৯৩১ টাকা উপার্জন করে, যা দিয়ে বর্তমান মূলস্ফীতিতে দিনে ৩ বেলা খাবার যোগানো দায় হয়ে পড়েছে। ডেইলি মিরর অনলাইন
শ্রীলঙ্কার গড় মাসিক গৃহস্থালি আয় ছিল ৭৬,৪১৪ টাকা। দেশটির শুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্য অনুযায়ী অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়ে ২০২০ সালে কোভিড মহামারি শুরু হলে। বর্তমানে শহুরে পরিবারগুলোর গড় আয় ১ লাখ ১৬ হাজার ৬৭০ টাকা হলেও গ্রামীণ পরিবারগুলোর গড় আয় হচ্ছে ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা। তবে বর্তমানে শহর ও গ্রাম মিলে গড় মাসিক পারিবারিক আয় নেমেছে ৭৫ হাজার টাকায়। বিরাট বৈষম্য রয়েছে গ্রামীণ ও শহুরে পারিবারিক আয়ের মাছে।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি হাইপারইনফ্লেশনের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় পরিবারগুলি তাদের নামমাত্র আয়ের মূল্যের ৪০ শতাংশ হারাতে পারে এবছরেই। সরকারি ভোক্তা মূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
জরিপে আরও দেখা গেছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে দরিদ্র ২০ শতাংশ পরিবার মাত্র ১৭,৫৭২ টাকা আয় করে। আবার সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবার মাসে গড়ে ১৯ হাজার ৬২৯ টাকা আয় করে, যা গত দুই বছরে নামমাত্র বিবেচনায় বেড়েছে, যদিও তাদের ক্রয়ক্ষমতা গত ছয় মাসে দুই অঙ্কে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
গত মার্চ থেকে জালানি সংকট তীব্র হওয়ার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হ্রাস পাওয়ায় দেশটির সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে না পারায়। অবশ্য মুদ্রাস্ফীতি কিছু মানুষকে সাহায্য করতে পারে, যদি তাদের সঠিক মনোভাব থাকে, যাতে তারা আরো উদ্যোগী এবং উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে পারে। এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন এধরনের পরিস্থিতিতেও আরও বেশি আয় করতে অনেকে উদ্যোগী হলে বিষয়টি তাদের মধ্যমেয়াদে মূল্যস্ফীতি দামের চাপকে পরাস্ত করতে সহায়তা করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :