ইকবাল খান: [২] খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হওয়া মুখোমুখি বৈঠকেও। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এ তথ্য জানালেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সূত্র: ভারতের আনন্দবাজার, বিবিসি।
[৩] বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ দফতরে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যা আমি সোমবার বলেছিলাম, সেই অভিযোগই পুনরুচ্চারণ করছি। কানাডার মাটিতে কানাডার নাগরিককে হত্যায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত, এটা মনে করার বিশ্বাসযোগ্য কারণ রয়েছে।” নয়াদিল্লিতে জি২০ বৈঠকের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি উঠেছে, এটা জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি এবং খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে আমি কোনও রকম শর্ত ছাড়াই আমার উদ্বেগের বিষয়গুলি জানিয়েছি।”
[৪] জাস্টিন ট্রুডো বলেন, একটি দেশের আইনের শাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা তার পক্ষেই দাঁড়িয়েছি। কানাডা আইনবিভাগ কঠোর ও স্বাধীন। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। কানাডীয়দের নিরাপদ রাখতে এবং আমাদের মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক নিয়ম শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় কাজ চালিয়ে যাব। এটাই এখন আমাদের সরকারে মূল লক্ষ্য।
[৫] এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “হ্যাঁ, অভিযোগগুলি বৈঠকে তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেগুলি খারিজ করে দেন।” অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা সরকার ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ দিলে বিষয়টি দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[৬] জুন মাসে খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা ছিল বলে কানাডার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে সোমবার দাবি করেন জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত।
[৭] দ্বিপাক্ষিক এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ভারত ও কানাডা পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিস্কার করে এবং বৃহস্পতিবার কানাডা জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশটি দিল্লিতে তার কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে আনবে।
আপনার মতামত লিখুন :