রাশিদুল ইসলাম : কলেজের খোলা ক্যাম্পাসে তিনি নামাজ পড়েন। তা পছন্দ হয়নি গোড়া হিন্দুত্ববাদী একটি ছাত্র সংগঠনের। তারা অভিযোগ করে কলেজের শান্তিভঙ্গের উদ্দেশেই অধ্যাপক ক্যাম্পাসের খোলা চত্বরে নামাজ পড়েছেন। এটা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। সেই অভিযোগে সায় দেয় কলেজের তদন্ত কমিটি। কমিটির সুপারিশ মেনে অধ্যাপাক এস আর খলিদকে ছুটিতে পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি কলেজ। দি ওয়াল
এই ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই শিক্ষককে একমাস কলেজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সময় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রিয়। যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের নানা কর্মসূচি ঘিরেও সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। গত মাসে ঈদের নামাজের জমায়েত প্রথমবারের জন্য রাস্তায় করার অনুমতি দেয়নি যোগী সরকার। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বড় মুখ করে সেই সিদ্ধান্তের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
আলিগড়ের কলেজের ঘটনার সঙ্গে কর্নাটকের শিক্ষাঙ্গনে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। যদিও সেখানে সরকারি সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট সিলমোহর দিয়েছে। কিন্তু মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠন মনে করছে এটা তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। অতীতে কখনও শিক্ষাঙ্গনের ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব নিয়ে আপত্তি করা হয়নি।
আবার, ব্যক্তিগতভাবে পড়ার ক্ষেত্রে যে কোনও উন্মুক্ত স্থানকে বেছে নেওয়ার প্রথা রয়েছে। রেল স্টেশন, চলন্ত ট্রেন, বিমানবন্দর, পথঘাট, হাট-বাজার যে কোনও জায়গায় নামাজ পাঠের চল আছে। উন্মুক্ত স্থানে নামাজ পড়ার জন্য সাজার দৃষ্টান্ত সাম্প্রতিক অতীতে অন্তত নেই।
আপনার মতামত লিখুন :