রাশিদুল ইসলাম : এতদিন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা বলে আসছিলেন কাশী-মথুরার মসজিদ আসলে হিন্দু মন্দিরের অংশ। জন্মলগ্ন থেকে এমন দাবি করে আসছে বিজেপি। সবার আগে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নিয়ে তারা আন্দোলন করেছিল। দলের স্লোগানই ছিল, ‘অযোধ্যা তো ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়!’ আচমকা দলের লাইন থেকে সরে এলেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বললেন, কাশী-মথুরা বিবাদ নিয়ে দলের কোনও অবস্থান নেই। এই বিতর্কিত বিষয়গুলির আদালতেই মীমাংসা হোক। আদালতের রায় মেনে নেবে পদ্মশিবির। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
সোমবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নাড্ডা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সবসময় সাংস্কৃতিক উন্নয়নের কথা বলি। কিন্তু এই ইস্যুগুলি সংবিধানের আওতাভুক্ত এবং আদালতের রায়ের উপর নির্ভরশীল। তাই আদালত এবং সংবিধান যা ঠিক করবে বিজেপি তা মেনে চলবে।’
সাংবাদিকরা তখন প্রশ্ন করেন, কাশী-মথুরা বিজেপির প্রধান এজেন্ডা কি না। তাতে নাড্ডা বলেন, ‘রাম জন্মভূমি ইস্যু দলের অঙ্গীকার হিসাবে পালামপুরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু তার পর কোনও এজেন্ডা নেওয়া হয়নি।’
গত ১৯৮৯ সালে পালামপুরে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রাম জন্মভূমি আন্দোলন নিয়ে অঙ্গীকার নেওয়া হয়। তার আগে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে গেছে। রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসাবে লালকৃষ্ণ আদভানি রাম জন্মভূমিতে মন্দির তৈরির আহ্বান জানিয়ে রথযাত্রা বের করেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :