ইমরুল শাহেদ: ‘সিটি অব আলেকজান্ডার’ কথাটি দিয়ে সেই শহরগুলিকেই বোঝানো হয়েছে, যেগুলো আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট প্রথমে অবরোধ ও পরে জয় করে নিয়ে ছিলেন। প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন, এভাবে আরো নতুন নতুন আবিস্কারগুলো পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ভ্রমণিচ্ছুদের আরো বেশি উৎসাহিত করবে। পাকিস্তানের যে শহরটিকে ‘সিটি অব আলেকজান্ডার’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেটির আসল নাম ‘বাজিরা’। এই শহরটি কয়েক শতাব্দী আগে আলেক্সজান্ডার দখল করে নিয়েছিলেন। আল-সাদাত মার্কেটিং
বাজিরা শহরটি সোয়াত উপত্যকায় অবস্থিত। পাকিস্তানের ইতালিয়ান আর্কিওলজিক্যাল মিশন ১৯৭০ সাল থেকে এই উপত্যকায় খনন কাজ শুরু করেছে। সোয়াতে খাইবার পাখতুনখোয়া আর্কিওলজি এ্যান্ড মিউজিয়ামের পরিচালক নিয়াজ আলী শাহ মনে করেন, সাম্প্রতিক এই আবিস্কারটি ধর্মপ্রাণদের জন্য এই ঐতিহাসিক স্থানটি আকর্ষণীয় হবে। তিনি বর্তমানে ইতালিয়ান আর্কিওলজি মিশনের সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা অন্যান্য ধর্মের প্রাচীন ইতিহাসকে বস্তুগত অবশেষের মাধ্যমে উন্মোচিত করেছি। এটি প্রাথমিকভাবে বৌদ্ধ এবং হিন্দু পর্যটকদের এই শহরটি দেখার জন্য আকৃষ্ট করবে। তারা দেখতে পাবে আমরা কিভাবে তাদের ইতিহাস সংরক্ষণ করছি।’
৩২৭ খ্রীষ্টপূর্ব সময়ে আলেক্সজান্ডার এই শহরটি অবরোধ ও দখল করে। মৌর্য সাম্রাজ্য, কুষাণ, হিন্দু শাহী এবং গজনভিদ সহ বিজয়ের পর থেকে বাজিরা বেশ কয়েকটি প্রাচীন সাম্রাজ্যেরও অংশ ছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, এ মাসের খনন কাজে অনাবিস্কৃত দেয়াল, বুরুজ এবং একটি দুর্গের সিঁড়ি আবস্কৃত হয়েছে। এর পাদদেশেই গড়ে উঠেছিল বাজিরা নগর বসতি। এর মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ববিদদের শহরটি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :