শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ০২:৪২ রাত
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ০৪:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নৌঘাঁটির পাহারায় ডলফিন মোতায়েন রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শত্রুপক্ষের হামলা থেকে নৌঘাঁটি সুরক্ষায় ডলফিন মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগর উপকূলের সেভাস্তোপোল নৌ ঘাঁটির প্রবেশপথে অন্তত দুটি ডলফিন মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। খবর 

মার্কিন নৌবাহিনীর ইউএস নেভাল ইনস্টিটিউটের (ইউএসএনআই) এক পর্যালোচনা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরুর দিকেই কৃষ্ণ সাগরের সেভাস্তোপল নৌঘাঁটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুটি সামরিক ডলফিন মোতায়েন করে রাশিয়া।

পানির নিচ দিয়ে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষায় এ পদক্ষেপ নেয় মস্কো। বন্দরের নৌ ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র পর্যালোচনা করে মার্কিন নৌবাহিনীর নেভাল ইনস্টিটিউট জানায়, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর দিকে রুশ সমুদ্রসীমায় দুটি ডলফিন মোতায়েন করা হয়। যদিও এ বিষয়ে মস্কোর কাছ থাকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ডলফিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। পানির নিচে বিভিন্ন বস্তু উদ্ধার ও শত্রুপক্ষের ডুবুরিদের ঠেকাতে জলজ এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি ব্যবহার করা হয়। সেভাস্তোপোল নৌঘাঁটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটি। এটি ক্রিমিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে এটি দখল করে নেয় মস্কো।

সেভাস্তোপোলের কাছে একটি বড় অ্যাকুরিয়ামে ডলফিন প্রশিক্ষণ দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত শাসনের শুরু থেকেই এই প্রকল্প চালু রয়েছে। শীতল যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সামরিক ডলফিনের ব্যবহারের প্রচলন শুরু করে। সে সময় পানির নিচে শক্তিশালী মাইনের মতো বিস্ফোরক শনাক্তে ডলফিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।

এদিকে ইউক্রেন ও পূর্ব-ইউরোপে অস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোকে ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বুধবার (২৭ এপ্রিল) ইউক্রেনে আরও বেশি অস্ত্র পাঠানোর জন্য মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু ইউক্রেন না জর্জিয়া ও মলদোভায়ও অস্ত্র পাঠাতে হবে। যেন তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা ধরে রাখতে পারেন।

লিজ ট্রাসের এই আহ্বানের জবাবে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন জর্জিয়া এবং মলদোভায় যদি পশ্চিমারা অস্ত্র পাঠাতেই থাকে, তাহলে এগুলো ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে এবং এই অঞ্চল আরও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। 
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়