আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। এ কারণে দেশটির মানুষ রাজপথে নেমেছে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে। এর মধ্যে প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় এসেছেন পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত করে দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতি আাবার সচল করা।
রবিবার এ দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে কিছু প্রস্তাব রেখেছেন বিক্রমাসিংহে। শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিররকে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সংসদের কাছে দায়বদ্ধ হবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যে ব্যবস্থা চলছে তরুণরা তার পরিবর্তন চায়। তাই তরুণদের সার্বিক সমস্যা সম্পর্কে জানা দরকার এবং নিজেরা যাতে নিজেদের সমস্যা সমাধান করতে পারে সে সুযোগ তাদের দেওয়া দরকার।’ এ লক্ষ্য পূরণের জন্য সবার আগে রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনপ্রণেতাদের ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সরকারের প্রভাব কমাতে হবে।’
২৩ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে কৃষক। ব্যাপক মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে তাঁর সরকারের নেওয়া নীতিতে ক্ষুব্ধ তারা। অভ্যন্তরীণ বাজার সামলাতে গম আর ভুট্টা রপ্তানিতে ১২ শতাংশ এবং সয়া, আটা ও রান্নার তেল রপ্তানির ওপর ৩৩ শতাংশ কর আরোপ করেছে দেশটির সরকার।
রনিল বিক্রমাসিংহে জানান, আপাতত ১৫টি সংসদীয় কমিটি গঠনের কথা ভাবছেন তাঁরা। প্রতিটি কমিটিতে চারজন করে তরুণ থাকবেন। চারজন তরুণ প্রতিনিধির তিনজনই হবেন অ্যাকটিভিস্ট এবং প্রতিবাদী সংগঠনগুলোর পছন্দের।
শ্রীলঙ্কার দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য রনিল বিক্রমাসিংহে এও জানিয়েছেন, তিনি আসলে খুব নতুন কিছু করছেন না। শ্রীলঙ্কা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয় ১৯৪৮ সালে। তার আগে দেশে যে ব্যবস্থা ছিল নতুন প্রস্তাব তার আলোকেই তৈরি বলে জানান তিনি। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
আপনার মতামত লিখুন :