শিরোনাম
◈ গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানীতে ছিনতাইকারীসহ গ্রেফতার ২০৬ ও মামলা ৫৩ ◈ কাগজই কেনা ১০২ কোটি টাকার মতো, সেখানে ৪০০ কোটি টাকার বাণিজ্য কীভাবে হবে: এনসিটিবি চেয়ারম্যান ◈ সাবেক সংসদ সদস্য আ.ক.ম বাহারের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ◈ শাহবাগে ৩০ কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ◈ কেনো এনসিপি নিয়ে অস্বস্তিতে বিএনপি? যা বললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (ভিডিও) ◈ ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় রমযানের শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে: জামায়াতের আমীর ◈ পুলিশের ডিজিটাইজেশনে সরকারের চার উদ্যোগ, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত ◈ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত, পদক পাচ্ছেন আরও ৭ জন ◈ ট্রাম্পের বাসভবনের আকাশসীমায় প্লেনকে প্রতিহত করল মার্কিন যুদ্ধবিমান ◈ তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কবে? এখনো যে মামলার দণ্ড রয়ে গেছে, যা জানাগেল

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৩:২৬ দুপুর
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২৩, ০৩:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেঁচে যাওয়ারা বললেন, ‘দ্বিতীয় জীবন পেলাম’

হারানো বন্ধুর ছবিসহ আফজাল 

সাজ্জাদুল ইসলাম: ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গেছেন তাদের একজন হলেন মোহাম্মাদ আফজাল। কিন্তু তার দুশ্চিন্তা হচ্ছে তার বন্ধুকে নিয়ে। আফজাল ও সে একই বগিতেই ছিলেন। সূত্র: আল-জাজিরা

আফজাল(১৯) উডিষ্যার এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। এ রাজ্যেই শুক্রবার রাতে তিনটি ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। এ ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ২৯০ জন। আহত হয় এক হাজারেরও বেশি মানুষ। আফজাল তার বন্ধু মোহাম্মাদ মাজহারকে খুঁজছে। একই ট্রেনে উঠেছিল সমবয়েসি দু’বন্ধু।

পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিম বঙ্গের কলকাতার বাসিন্দা মাজহার। তার পরিবারও সেখানে বাস করে। তার শোকাহত মা-বাবা, চাচা-মামা ও খালা-ফুফুরা ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মাজহারকে চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুঁজেন।  দুর্ঘটনার পর ২০ ঘন্টা পার হওয়ার পরেও মাজহারের কোন সন্ধান পাননি তারা। সেখানে তখন লাশগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

আফজাল বলেন, ‘আমরা দু’জনে সাধারণ বগিতে উঠি। পুরো বগি ছিল গাদাগাদি করে যাত্রীতে ভরা। বসার কোন জায়গা ছিল না তাই আমরা দাঁড়িয়েছিলাম।’ 

তিনি বলেন, ‘ ট্রেনে উঠার ৩০ মিনিট পর ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আমরা বুঝতে পারছিলাম যে, আমাদের বগি অন্তত ৩ বার উলোটপালোট খেয়েছে।’

আফজাল যখন বগি থেকে বের হলেন তখন তিনি মাজহারকে খুঁজে পেলেন না। আফজাল বলেন, ‘আমি চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে ওকে খুঁজেছি। কিন্তু ওর কোন হদিস পাইনি। ওকে না পাওয়া পর্যন্তু আমি কোন শান্তি পাবো না।’

মাজহারের খালা আমেনা বেগম বলেন, ‘ও বেঁচে আছে, আমরা শুধু এ কথাটুকুই জানতে চাই। খবর পাওয়ার পরই আমরা এখানে চলে এসেছি। একদিন পার হয়ে গেছে। এখনো ওর কোন হদিস আমরা জানতে পারিনি।’

যারা দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন তারা একে দ্বিতীয় জন্ম বলে অভিহিত করেছেন। মনোরঞ্জণ মালিকের (৪২) বাম পা ভেঙ্গে গেছে। দুর্ঘটনার ১২ ঘন্টা পর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বগি থেকে তাকে টেনে বের করা হয়।

তিনি বলেন, আমি বিরাট আঘাতের শব্দ শুনতে পেলাম। মাথায় প্রচন্ড আঘাত পাই। এরপর কি হলো তা বলতে পারবো না।’ মালিক বলেন, ‘জ্ঞান হারানোর পর অনেক সময় কেটে যায়। আমাকে টেনে বের করার সময় আমার জ্ঞান ফিরে আসে। চোখ খুলে আকাশ দেখতে পাই। তখনো বুঝতে পারি নি আমি কোথায় আছি। আমার মনে হল, আমি দ্বিতীয় জীবন লাভ করেছি।’

ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। মৃত ও জীবিত লোকদেরকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো মরদেহগুলো সনাক্ত করা। আফজালের মতো লোকদের তাদের পরিবার, স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সংযোগ করে দেওয়া। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া

এসআই/এসএইচবি/এএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়