সাজ্জাদুল ইসলাম: দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন চলছে। সম্মেলনে পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্যমুক্ত হয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্দোর বলেছেন, ‘ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈষম্য ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতায় ক্ষতবিক্ষত বর্তমান বিশ্বে নেতৃত্ব দানের স্বপ্ন দেখছে তাদের জোট।’
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার নামের আদ্যক্ষর নিয়ে জোট নামকরণ করা হয়েছে ব্রিকস। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ সম্মেলনে কালোছায়াত করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এ আদালতে সদস্য। এ কারণে পুতিন আগামী আগষ্ট মাসে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ গেলে তাকে গ্রেপ্তার করার বাধ্যবাধকতা থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার।
অনেকে ব্রিকসকে জি-৭ এর বিকল্প জোট হিসেবে দেখছেন। ধনী দেশগুলোর জোট হলো জি-৭। গত মাসে জাপানের হিরোশিমা নগরীতে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাজিল ও ভারত ওই সম্মেলনে যোগদান করে। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও রাশিয়ার কঠোর সমালোচনা করা হয়।
ব্রিকস দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা ৩২০ কোটি। যা বিশ্বের প্রায় ৮০০ কোটি জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ।
কেপটাউনে প্রথম দু’দিনের আলোচনায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেছেন, ‘এ সম্মেলন থেকে একটি দৃঢ়বার্তা দিতে হবে যে বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব ভারসাম্য অর্জন করছে, সেকারণে পুরাণো পন্থায় আর নতুন পরিস্থিতির সুরাহা করা সম্ভব নয়।’
ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভেইরে ‘ব্রিকসকে বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ার এক অবিচ্ছেদ্য ব্যবস্থা বলে বর্ণনা করে বলেন এতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সম্ভাবনা ও চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে।’
চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওশু বলেছেন, ‘উন্নয়ন দেশগুলো ও উদীয়মান বাজার অর্থনীতির সহায়তায় করতে ব্রিকস গ্রুপকে আরো সম্প্রসারণ করার সম্ভবনা রয়েছে।’
ওাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘সৌদি আরবসহ একডজনেরও বেশি দেশ ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে ল্যাভরভের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা এসময় ‘শিশু হত্যাকারী’ লেখা ল্যাভরভের ছবি বহন করে।
১৯৯৪ সালের আগে সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ শাসনের সময় থেকে আফ্রিকার ক্ষমতাসীন আফ্রিকান কংগ্রেসের (এএনসি) রাশিয়ার সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে। দেশটি ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকার করেছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ
এসআই/আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :