সাজ্জাদুল ইসলাম: দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির জবাবে ইমরান খান বলেছেন, তার বিদেশে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানে, তার স্ত্রী বুশরা বিবি, পিটিআইয়ের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং অনেক সাবেক আইনপ্রণেতার বিদেশ যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এদিকে ইমরানের ৩৩ সমর্থককে বিচারের জন্য সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ইন্ডিয়া টুডে
নিষেধাজ্ঞার পর এক টুইটবার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আমার নাম ইসিএল-এ (ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা) রাখার জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ আমার বিদেশ ভ্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই। ইমরান খান বলেন, বিদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসা নেই। এমনকি দেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।
ছুটি কাটানোর জন্যও পাকিস্তানের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘যদি বা যখন আমি ছুটি কাটানোর সুযোগ পাই তখন আমাদের উত্তর পর্বতমালায় যাবো। পৃথিবীতে এটি আমার প্রিয় জায়গা।’
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের কয়েকটি দপ্তরের অনুরোধে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকা তৈরি করেছে পাকিস্তান সরকার। এর মধ্যে পুলিশ ছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) রয়েছে। পুলিশ, কেন্দ্রীয় সন্ত্রাসবাদবিরোধী দপ্তর, প্রাদেশিক দুর্নীতিবিরোধী দপ্তর, এনএবি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এই তালিকার জন্য নাম পাঠানো হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আতাউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইমরান খান ও বুশরা ছাড়া পিটিআই নেতাদের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আসাদ উমার, মালিকা বোখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সাঈদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ ও আসলাম ইকবাল।
৩৩ সমর্থকের বিচার করবে সেনাবাহিনী
এদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ জানিয়েছেন যে,সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপনায় হামলার অভিযোগে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর পাকিস্তান জুড়ে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। তখন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে আটক হন অভিযুক্ত এই ৩৩ জন।
সানাউল্লাহ জানান, যাদের সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বিচারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, বাইরের মানুষ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ, এমন আদালতে তারা ন্যায় বিচার পাবে বলে নিশ্চিত হতে পারছে না। তবে সানাউল্লাহ বলেন, সামরিক আদালতের রায়ের পর অভিযুক্তদের হাইকোর্ট এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার অধিকার থাকবে। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :