ইমরুল শাহেদ: শুক্রবার তুরস্কের পার্লামেন্ট এই অনুমোদন দিয়েছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যখন বুচায় রুশ গণহত্যা দিবস পালন করছে তখন তুরস্কের পার্লামেন্ট এই অনুমোদন দেয়।
সিএএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ড অনুমোদন পেলেও সুইডেনকে এখনো ব্লক করে রেখেছে তুরস্ক। ন্যাটো সামরিক জোটে তাদের যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্ক এখনো বাধা হয়েই থাকলো। ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোভুক্ত করতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যাপ এরদোগানের কখনো কোনো আপত্তি ছিল না। পার্লামেন্ট দ্বিধাহীনভাবে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সহায়তা করেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সুইডেনের বিষয়ে তুরস্কের আপত্তি হলো কুর্দিশ জঙ্গিদের নিয়ে। তুরস্ক মনে করে সুইডেনই হলো কুর্দিদের প্রধান আশ্রয় স্থল।
গত সপ্তাহে হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট সবুজ সংকেত দিয়েছে। ৩০ সদস্যের ন্যাটোয় কেবল বাকি ছিল তুরস্ক। নিয়ম অনুযায়ী নতুন কোনো দেশকে ন্যাটোয় যোগ দিতে হলে সব সদস্য দেশের সম্মতি প্রয়োজন হয়। তুরস্ক সর্বশেষ দেশ হিসেবে ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদানে অনুমোদন দিল। ফিনল্যান্ড হবে ন্যাটোর ৩১তম সদস্য দেশ।
ফিনল্যান্ডকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিল তুরস্ক। প্রায় এক বছর ধরে আলোচনার পর এই মাসের গোড়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আশ্বাস দিয়েছিলেন, ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে তাদের আর কোনো আপত্তি নেই।
এর আগে সমদূরত্ব নীতি অবলম্বন করতো নরডিক রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড। কোনো সামরিক জোটে তারা অংশ নিত না। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর নীতি পরিবর্তন করে ফিনল্যান্ড। ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায়। বস্তুত, রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে ফিনল্যান্ডের। ফলে রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে তারা। সে কারণেই দ্রুত ন্যাটোয় যোগ দিতে চেয়েছিল তারা।
এদিন তুরস্কের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, তুরস্কের অনুমোদনের পর ফিনল্যান্ড সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ন্যাটো জোটে যোগদান তার দেশের নিরাপত্তাশক্তি বাড়াবে। এতে স্থিতিশীলতা বাড়বে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন টুইটারে লিখেছেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা পরস্পরের উপর নির্ভর করতে পারব।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিম ইউরোপের রক্ষাকবচ হিসেবে গঠন করা হয়েছিল ন্যাটো। এখন সেই ন্যাটো পূর্ব ইউরোপেও প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আইএস/টিএবি/একে
আপনার মতামত লিখুন :