শিরোনাম
◈ চিফ হিট অফিসার আতিককন্যা বুশরা কত টাকা বেতন পেতেন? ◈ জানলে চমকে যাবেন, সরকারের মেট্রোরেল মেরামতে সাশ্রয় হয়েছে কত টাকা?  ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে সরাসরি কথা বললেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ◈ সংস্কার নিয়ে সংলাপের চিন্তা: অগ্রাধিকার পাচ্ছে নির্বাচনি আইন ◈ (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ ফরিদপুরে বাস খাদে পড়ে আহত ৩০, অলৌকিকভাবে উদ্ধার নবজাতক ◈ বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট বৈধতা স্থগিত করল ইতালি (ভিডিও) ◈ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হবে ◈ হাসিনা সরকার বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছিল পিটার হাস্‌কে নিয়ে অস্বস্তির কথা ◈ পুলিশের আরও চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু, সতর্ক করল চীন

রাশিদুল ইসলাম: ১০ দিনের মধ্য আমেরিকা সফর শুরু করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। মধ্য আমেরিকার দেশগুলো ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন তিনি। সেখানে হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। তাইওয়ানের সঙ্গে এখন কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে শুধুমাত্র গুয়াতেমালা এবং বেলিজের। এ দুটি দেশও সফর করবেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। বিশ্বের বাকি সব দেশ তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কিংবা কখনোই দেশটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে এই দুই দেশ ছাড়া বাকি বিশ্ব তাইওয়ানকে চীনের একটি অঞ্চল হিসেবেই দেখে। সিএনএন

এদিকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের এ সফরকে ভাল চোখে দেখছে না চীন। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ইউএস হাউস স্পিকারের সাথে দেখা করলে বেইজিং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তাইওয়ানের নেতার যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে চীন। মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন যে তিনি চীনের সতর্কতা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সাথে দেখা করবেন। প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন তাইওয়ানে ফেরার পথে লস অ্যাঞ্জেলেসে থামবেন। তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষই চীনের কাছ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া এড়াতে এই জাতীয় বৈঠকের প্রচার করতে অনিচ্ছুক ছিল, যা তাইওয়ানকে তার সার্বভৌম ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না। চীনের এই অঞ্চলটি যদিও স্বশাসিত এবং নিজস্ব নীতিতেই চলছে। দ্বীপটির সরকারি নাম ‘রিপাবলিক অফ চায়না’ বা আরওসি। তবে বেইজিং গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। চীনের সঙ্গে কোনো দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম শর্তই হচ্ছে ‘এক-চীন’ নীতি মেনে নেয়া। 

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এক-চীন নীতি মেনে চললেও তাইওয়ানের সঙ্গে তাদের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির কাছে অস্ত্রও বিক্রি করে তারা। আগামী ৩০শে মার্চ মধ্য আমেরিকা সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন ইনস্টিটিউটে বক্তব্য রাখবেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। আবার মধ্য আমেরিকা সফর শেষে ফিরে যাওয়ার সময় ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতেও একটি বক্তব্য রাখবেন তিনি।

তাইওয়ানের জাতীয় চেংচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুই-বো হুয়াং বলেছেন, তাইওয়ানের নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক সফর করেন না এবং রাজধানী ওয়াশিংটনে যান না। এটা এক ধরনের অব্যক্ত নিয়ম। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য আমেরিকা সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রে থামা খুব সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। হুয়াং বলেন, অতীতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টরা প্রকাশ্যে ভাষণ দিতে পারতেন না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সাথে প্রকাশ্যে যোগ দিতে পারতেন না। এখন আর সেই বিষয়টি দেখা যায় না। তারা এখন মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়