চঞ্চল পাল, ভারত(পশ্চিমবঙ্গ): সম্ভবত মে মাসের মধ্যেই হতে চলেছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন বছরের পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন তেমনটাই সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ভরসা রেখেছে। ভোট পরিচালনা করার জন্য আর কোন বিধিনিষেধ থাকল না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর।তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশন বা নবান্ন কোনও মন্তব্য না করলেও কোর্ট কিন্তু সবুজ সঙ্কেত দিয়ে রেখেছে রাজনৈতিক বিরোধীদল গুলিকে।
হাইকোর্টের বয়ানে স্পষ্ট বলা আছে কোন রাজনৈতিক দল যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তবে তা পৃথকভাবে আবেদন করতে পারে। তাই ভোট পরিচালনার পূর্ণ ক্ষমতা পাওয়ার পরেও চলতি রমজান মাসে এখনই কমিশন নির্ঘন্ট নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না বলেই খবর।
সূত্র বলছে বাংলার নতুন বছরের পরেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার একুশ দিন থেকে সর্বচ্চ পঁয়তাল্লিশ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।এপ্রিলের শেষে বিজ্ঞপ্তি যদি জারি করে কমিশন তাহলে নিয়ম মেনে আগামী মে মাসের মাঝামাঝির মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পন্ন করবে কমিশন বলেই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, ২০১৮ তে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদে ২০৪ টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩০৯৮ টি আসনে ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬ হাজার ৮৬১ টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৬৫০। কিন্তু ৩১ হাজার ৭৮৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ৯২১৭।
যদিও ৬১১৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। জেলা পরিষদের মোট আসন ৮২৫ টির মধ্যে ৬২১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। তাই এবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছ হয় তা স্পষ্ট করতে চাইছে কমিশন।
এর পরিপ্রক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানান, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সব রাজনৈতিক দলই যাতে তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে সে দিকেই কড়া নজর দিচ্ছে কমিশন।বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে দিকে শুধু নজরই নয়, প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তবে সূত্রের খবর সুষ্ঠ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কমিশন এক দফাতে করলেও তা করবে শান্তিপূর্ণ ভাবেই।এখন দেখার কমিশনের এই দৃঢ় মনোভাব আসন্ন নির্বাচনে কতটা কার্যকরি করতে সক্ষম হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন কমিশন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের জন্য তিন রং এর ব্যালট পেপারের ই-টেন্ডারিংও করে ফেলেছে কমিশন বলেই সূত্রের খবর।
পঞ্চায়েত সমিতি গোলাপি এবং জেলা পরিষদ হলুদ রং এর ব্যালটের ই টেন্ডারিং ইতি মধ্যে সেরে ফেলেছে কমিশন।
এক্ষেত্রে এখন দেখার কমিশনের এই দৃঢ় মনোভাব আসন্ন নির্বাচনে কতটা কার্যকরি করতে পারে কমিশন। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির
প্রতিনিধি/আইএফ/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :