সাজ্জাদুল ইসলাম: রাশিয়ার পুলিশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাবেক বক্তব্য লেখক আব্বাস গালিয়ামোভকে ফেরারি ঘোষণা করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপারে মন্তব্যের কারণে তাকে ফেরারি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এটিকে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে মস্কোর দমনপীড়নের সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আল-জাজিরা
২০০৮-১২ পর্যন্ত পুতিন প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আব্বাস তার বক্তব্য লেখক হিসেবে কাজ করেন। ৫০ বছর বয়েসি আব্বাস পরে স্পষ্ট ভাষী রাজনৈতিক আলোচক ও বিশ্লেষকে পরিণত হন। রুশ ও বিদেশী গণমাধ্যম প্রায় তার বক্তব্য উদ্ধৃতি করে থাকে। গত কয়েক বছর যাবত তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন।
রাশিয়া ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গত শুক্রবার আব্বাসের ফেরারি ঘোষণার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা দেখতে পায়। ফৌজদারি অপরাধ আইনে তাকে ফেরারি করা হয়েছে। তবে কোন আইন ভঙ্গের জন্য তাকে ফেরারি করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
গত মাসে রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় আব্বাসকে বিদেশি গুপ্তচর দের তালিকাভুক্ত করে। সম্প্রতি এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আব্বাস ভবিষ্যতবানি করেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও বক্তব্য লেখক হিসেবে তার সময়ের আলোকে বর্তমান পরিস্থিতি রাশিয়ার গণঅভ্যূত্থানের ঘটতে পারে। বর্তমানের মতো রাশিয়া কোন ফ্যাসিস্ট দেশে পরিণত হোক তা খুব কম লোকই চায়।’
শুক্রবার আব্বাস গালিয়ামোভ জানান যে, তিনি গণমাধ্যম থেকে তার ফেরারি তালিকাভুক্তির বিষয় জানতে পেরেছেন। আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থার সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ হয়নি এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কি তা তিনি জানেন না।
এক ফোন সাক্ষাৎকারে আব্বাস বলেন, ক্রেমলিনের বিরোধী যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি তার বস্তনিষ্ট ও নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওযার চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর গৃহীত নতুন আইনে সেনাবাহিনীর দুর্নাম করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। সমালোচকদের বিরুদ্ধে ক্রেমলিন আইনটি নিয়মিত ব্যবহার করছে।
আব্বাস বলেন, ‘ভয় দেখানোর কৌশল হিসেবে রুশ সরকার তার বিরু্েদ্ধ এ পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা আমাকে নাগালের মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করছে তা নয়, এটি করা অসম্ভব। এ হলো অন্যদের জন্য একটি বার্তা।’
এসআই/এসএ
আপনার মতামত লিখুন :