সাজ্জাদুল ইসলাম: প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা বিকাশ ও উন্নয়নে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার সুসম্পর্ক বিশ্বের অগ্রগতি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড, বিবিসি
২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাশিয়ায় তার নবম সফরে শি বলেন, ‘সত্যিকার বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখতে,একটি বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যাপকভিত্তিক গনতন্ত্র বিকাশে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করবে চীন। এটা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বৃহত্তর গণতন্ত্র এবং বহুমেরুকেদ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার বিকাশ ও উন্নয়ন করবে। যা বৈশ্বিক পরিচালনা ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত হবে।’
এর আগে ৬৯ বছর বয়সী এ চীনা নেতা তিন দিনের সরকারি সফরের জন্য মস্কোর ভানুকোভো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। গত বছর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এটা তার প্রথম রাশিয়া সফর। তবে তিনি গত বছর বেশ কয়েকবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
চীনা প্রেসিডেন্ট তার দেশের দৈনিক গ্লোবাল টাইমসকে বলেছেন, বেইজিং-মস্কো সুসম্পর্ক কেবল দু’দেশের জনগণের জন্য স্থায়ী কল্যাণ বয়ে আনেনি উপরন্তু তা বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’ বর্তমানে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯ হাাজার কোটি ডলার। শি জিনপিং বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া সফর ফলপ্রসূ হবে এবং একটি নতুন যুগের সূচনার জন্য চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার ব্যাপকভিত্তিক কৌশলগত অংশিদারিত্বের সমন্বয়ের সম্পর্কের সুষ্টু ও ক্রমবর্ধমান বিকাশে নতুন গতি সঞ্চার করবে।
যুদ্ধ বন্ধের চীনা প্রস্তাব
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সফরের প্রথমদিনে সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রুশ প্রেসিডেন্ট চীনা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চীন যে প্রস্তাব দিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করবে মস্কো।
পুতিন বলেন, ‘আমরা সবসময় আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’ এছাড়া দুই নেতা একে-অপরকে ‘প্রিয় বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন।গত মাসে ১২ দফার একটি শান্তি প্রস্তাব দেয় চীন। এতে বলা হয়, সব পক্ষকে‘হামলা বন্ধ’ করে শান্তি আলোচনায় বসতে হবে। তবে চীন যে যুদ্ধবিরতির কথা বলছে সেটি নিয়ে সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন পরোক্ষভাবে জানিয়েছেন, তারা চান না এখনই যুদ্ধ বন্ধ হোক। আর যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে হয় তাহলে আগে রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনকে ছাড়তে হবে। তিনি আরও বলেনে, ‘ইউক্রেন থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহার না করে যে যুদ্ধবিরতির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আসলে রাশিয়ার বিজয়কে সমর্থন দেবে।’ আজ মঙ্গলবার রাশিয়া-চীনের প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক হবে। এদিনই দুই পক্ষ বিস্তারিত আলোচনা করবে।
এমআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :