জাফর খান: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সামরিক বাহিনীর সমালোচকরা বলছেন, দুই বছর আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সেনাবাহিনী ক্রমাগত যুদ্ধাপরাধ করেই চলেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সৈন্যরা সম্প্রতি দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের গ্রাম দুটি হতে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সরকার বিরোধী প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন।
গ্রাম দু’টি মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত। এপি বলছে, সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশব্যাপী শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করতে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শক্তি প্রয়োগ করে যাচ্ছে। সৃষ্ট এসব সহিংসতা এর আগেও জাতিসংঘ গৃহযুদ্ধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল।
জানা যায়, বিভিন সময়ে অভিযানের নামে সেনা সদস্যরা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লাখ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারবিরোধী গণতন্ত্রপন্থি পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’র স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, গত সপ্তাহের এই হামলায় ৯০ জন সৈন্য জড়িত ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাঁচটি হেলিকপ্টারে করে এসব সৈন্যকে ওই এলাকায় আনা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নিয়াং একটি নদীর মধ্যে অবস্থিত ছোট দ্বীপে তিন নারীসহ ১৪ জনের মৃতদেহের খোঁজও পাওয়া যায়। ২০১৭ সালেও রাখাইনে নৃশংস জাতিগত নিধন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ফলশ্রুতিতে মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে।
জেকে/এএ
আপনার মতামত লিখুন :