মাজহারুল ইসলাম: [২] টিকা এবং কার্যকরী অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ ছাড়া করোনা সংকট মোকাবেলার চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ২০২০ সালের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া তাদের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। এখনো উত্তর কোরিয়ার সরকার বিদেশী চিকিৎসা সহায়তা নিতে রাজি হয়নি। বিবিসি বাংলা
[৩] জ্বর থেকে মুক্তি পেতে উত্তর কোরিয়ার সব রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সনাতনী চিকিৎসা করার আহবান জানানো হচ্ছে। যারা গুরুতর অসুস্থ নয়, তাদের আদা অথবা হানিসাকল (এক ধরণের ঔষধি গুণসম্পন্ন পাতা ও ফুল) চা পান করা এবং ইউলো পাতার পানি পান করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের পত্রিকা রডং সিমনান।
[৪] এ ধরণের গরম পানীয় গলা ব্যথা এবং কফের মতো করোনা ভাইরাসের হালকা লক্ষণ থেকে আরাম দিতে পারে। এছাড়া শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়ে গেলে সেটির অভাবও পূরণ হয়। আদা এবং ইউলো পাতা শরীরের প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে এগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা নয়।
[৫] রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ এক হাজার টন লবণ পাঠানো হয়েছে। কোন কোন গবেষণায় বলা হয়েছে, লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা সাধারণ ভাইরাস জনিত ঠাণ্ডা লাগা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যদিও এটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থামানোর মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই।
[৬] গবেষণাগারের পরীক্ষায় দেখা গেছে, মাউথওয়াশ করোনা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে। তবে মানুষের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হলে, সেটি করতে পারে কি না - সে সম্পর্কে কোন প্রমাণ নেই।
[৭] রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পরামর্শ দিচ্ছে, আইবুপ্রোফেন-এর মতো ব্যথানাশক ওষুধ এবং অ্যামোক্সিসিলিন-এর মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করার জন্য। আইবুপ্রোফেন শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং মাথাব্যথা ও গলাব্যথার উপশম দিতে পারে। কিন্তু এসব ওষুধ দিয়ে করোনাভাইরাস সারানো যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :